Director Dead Ahmedabad Plane Crash: আহমেদাবাদের ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনায় প্রাণ গেছে যে মানুষগুলোর, সবাই যে বিমানের মধ্যে ছিলেন এমন কিন্তু নয়। মারা গিয়েছেন মেডিকেল কলেজের ছাত্র, সঙ্গে সেই এলাকার ধারে কাছে থাকা বেশ কিছু সাধারণ মানুষও। শিশুদেরও প্রাণ গিয়েছে। ফের আরেকটি মর্মান্তিক মৃত্যুর খবর জানা যাচ্ছে। চলচিত্র নির্মাতার মৃত্যুর খবর বর্তমানে শোনা যাচ্ছে আহমদাবাদের ঘটনার পর।
মহেশ কালোদিয়া, আহমেদাবাদের ঘটনার পর নিখোঁজ ছিলেন বহুদিন। পরিচালক শেষ কথা বলেছিলেন তার স্ত্রীর সঙ্গে। যেখানেই দুর্ঘটনা ঘটে তার থেকে ৭০০ মিটার দূরত্বে ছিলেন এই পরিচালক। স্কুটারে করেই এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় যাচ্ছিলেন। দুর্ঘটনা ঘটার পর থেকেই তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। তার পরিবার ভেবেছিলেন হয়তো বা তিনি বেঁচে আছেন। তবে সম্প্রতি ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে জানা গেছে সেই পরিচালকের আর ফেরা হলো না। বিমানে না থাকলেও ওই মানুষটি প্রয়াত। দূর্ঘটনার স্থলের একদমই নিকটে ছিলেন বলেই, বাকি সকলের মতই ঝলসে গিয়েছেন তিনি।
Abhijit Gangopadhyay Hospitalised: AIIMS-এ গুরুতর অবস্থায় চিকিৎসাধী…
সূত্রের খবর, একটি জ্বলন্ত অ্যাক্টিভা স্কুটারকে খুঁজে পাওয়া যায় দুর্ঘটনাস্থলে। নাম্বার প্লেটটি দেখে বোঝা গিয়েছিল এটি মহেশের স্কুটার। তার ফোনও হারিয়ে গিয়েছিল। সুইচ অফ হয়ে যাওয়ার পর থেকে তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। তার ফোনের শেষ লোকেশন দেখাচ্ছিলো দুর্ঘটনাস্থলের একদম নিকট অঞ্চলে। সেই থেকে জন্ম নেয় সন্দেহ। পুলিশে অভিযোগ করার পরেই, পরিবারের কাছেই ভয়ংকর খবরটি পৌঁছায়। তার পরিবার সূত্রে এমনই খবর ছিল যে কোন রকম মিটিং ছেড়ে তিনি এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যাচ্ছিলেন। কিন্তু বাড়ি ফেরা হলো না।
বিধ্বস্ত তাঁর পরিবার..
সুস্থ সবল মানুষটি বাড়ি থেকে বেরিয়েছেন। কিন্তু এরকম এক ভয়ংকর ধ্বংসলীলার মুখে নিজের প্রাণ হারাবেন, বিশ্বাসই করতে পারছেন না তার পরিবার। প্রথম মেনে নিতেই রাজি হচ্ছিলেন না তাদের বাড়ির ছেলে আর নেই। তার পরিবারে তরফে প্রথমে বডি নিতে অস্বীকার করা হচ্ছিল। প্রত্যেকেই চূড়ান্ত মানসিক শকে ছিলেন। কিন্তু পরবর্তীতে, ফরেনসিক এভিডেন্স, স্কুটারের নাম্বার এবং ডিএনএ রিপোর্টের মাধ্যমেই তিনি, পরিবারের মানুষ বুঝতে পারেন সত্যি তাদের বাড়ির ছেলে আর নেই। এই বীভৎসর ট্রাজিক সত্যটা, নাড়িয়ে দিয়েছে তার পরিবারের সকলকে।
এখনো পর্যন্ত প্রায় ২৩১ জনের ডিএনএ ম্যাচ করা সম্ভব হয়েছে আহমেদাবাদ প্লেন দুর্ঘটনার পর। ২১০ টি বডি পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। এবং একে একে শেষকৃত্য সম্পন্ন করছেন পরিবারের সকলে