Ahmedabad Plane Crash 2025: আহমেদাবাদের ভয়াবহ বিমান দূর্ঘটনা সকলের রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছে। যে ধরনের দৃশ্য চোখে এসেছে সেই মারাত্মক বিস্ফোরণের পর, মানুষের হাড় কাঁপানো পরিস্থিতি। কারওর যে এহেন করুন পরিণতি হতে পারে, চিন্তা ভাবনার বাইরে। এমনকি সাধারণ মানুষের সঙ্গে সঙ্গে তারকাদের পর্যন্ত একই অবস্থা। তাঁদের সকলকেই এদিক ওদিক মাঝে মধ্যেই ট্রাভেল করতে হয়। বিমান ওঠার প্রয়োজনীয়তা লেগেই থাকে। কিন্তু, এখন যে পরিস্থিতি সেটা যে খুব একটা সুখকর নয়, কিংবা আনন্দের সঙ্গে মানুষ প্লেনে উঠছেন না, সেকথা পরিষ্কার।
এতসবের মধ্যে একজন কেবল বেঁচে এসেছেন। রমেশ যেন প্রমাণ করে দিলেন যে রাখে হরি তো মারে কে! তিনি সকলকে চমকে দিয়েই একমাত্র বেঁচে ফিরলেন। আর তারপর থেকেই অনেকেই তাঁর ভাগ্য নিয়ে কথা বলছেন। সেদিনের AIR ইন্ডিয়ার বিমানে 11A নম্বর সিটে তিনি বসেছিলেন। এবং সেই বসার আসন তাঁর প্রাণ বাঁচিয়ে দেয়। এবং তারপর থেকেই বেশিরভাগ মানুষের মন্তব্য 11A নম্বর আসনের দাম এখন চড়চড় করে বাড়বে। কারণ, প্রাণ বাঁচাতে সকলে এই সিট কিনতে চাইবেন। এদিকে, বাংলার অন্যতম জনপ্রিয় পরিচালকের স্ত্রী জিনিয়া সেন, সেদিনের সেই ঘটনার পর প্রথম ফ্লাই করলেন। এবং, সমাজ মাধ্যমে তিনি একটি পোস্ট করেছেন। শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় এর স্ত্রী এবং উইন্ডোজের অন্যতম সদস্য, জিনিয়া এবার ট্রাভেল করেছেন 11A নম্বর আসনেই।
Tollywood : বাবার মৃত্যুর পরেই ঘিরে ধরল ভাবনা, কেনই বা তাঁর ডাক্তারকে ফোন করেছিলেন সুদীপ্তা?
তিনি সমাজ মাধ্যমে লিখছেন... "বোয়িং ৭৩৭-এর মর্মান্তিক ঘটনার পর আমি আমার প্রথম ফ্লাইটে উঠেছিলাম। প্রিয়জনদের হারিয়ে যাওয়া পরিবারের শোকের তীব্রতা সম্পর্কে চিন্তা না করে থাকা অসম্ভব। কৌতূহলের বিষয় হল, আমার দল আমাকে এই যাত্রার জন্য ১১এ আসনটি বুক করেছিল এবং যা কিছু ঘটেছে তার আলোকে, এটি আরও গুরুত্বপূর্ণ আসনের মতো মনে হচ্ছে - যেকোনো প্রিমিয়াম ক্লাসের চেয়ে অনেক বেশি।" এই প্রসঙ্গেই ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলার তরফে তাঁকে যোগাযোগ করা হয়েছিল। জিনিয়া নিজের নতুন ছবির কাজে উত্তরবঙ্গ গিয়েছেন। সেখানেই, ২২ তারিখ থেকে শুরু হবে শুটিং। তিনি বলছেন...
যেসব দৃশ্য আমরা দেখেছি, সেটার পর এটুকু বলতে পারি কোথাও বসেই মন ঠিক রাখা সম্ভব না। কিন্তু, আমার টিম এটা আমায় করে দিয়েছে, যদি কিছু ঘটেও, যেন আশার আলো একটা থাকে। সেই বিশ্বাসটাই তো অনেক! জিনিয়া আরও জানালেন আজকের অভিজ্ঞতার কথা। তিনি বলছেন, "আজকে খুব অদ্ভুতভাবে একটা জিনিষ দেখলাম। আগে কেবিন ক্রুরা বলতেন যে উইন্ডো পেন খুলে দিন। তাহলে বাইরের সুন্দর দৃশ্য দেখা যাবে। কিন্তু, আজ ওরা আমাদের কাছে অনুরোধ করলেন, যে সেটা বন্ধ করে দিন এবং কোনও ছবি তুলবেন না। ল্যান্ডিং এর সময় শুধু ইমার্জেন্সী উইন্ডো বাদ দিতে সব উইন্ডো পেন ওরা বন্ধ করে রাখতে বলছিলেন। কারণ, মানুষ প্যানিক করছেন।"
প্রসঙ্গ, বিমানে ওঠার নামে এখন যাচ্ছেতাই অবস্থা মানুষের। কেবিন ক্রু থেকে প্যাসেঞ্জার সকলেই যেন ঈশ্বরের নাম করতে করতে প্রাণ হাতে নিয়ে ফ্লাইটে উঠছেন। জিনিয়া বলছেন, বহুবছর মানুষ এই স্মৃতি এবং ভয় থেকে মুক্ত হবেন না। এই ক্ষতটা রয়েই যাবে।