/indian-express-bangla/media/media_files/2025/09/07/img_3518-2025-09-07-18-21-30.png)
নতুন মায়েদের পুজো প্ল্যানিং
Durga Puja 2025: আর মাত্র কয়েকটা দিন, তারপরই ঢাকে পড়বে কাঠি। মায়ের আগমনীবার্তায় আলোকমালায় সেজে উঠবে চারিদিক। আর সেই আনন্দের রেশ এখনই ছড়িয়ে পড়েছে স্টুডিওপাড়ায়। পুজোর আগে জোরকদমে চলছে শুটিং। এর মাঝেই পুজোর প্ল্যানিং সেরে ফেলেছেন ইন্ডাস্ট্রির নতুন মায়েরা। ছোট্ট সোনাদের নিয়ে কী ভাবে প্যাণ্ডেলে ঘুরবেন? ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলার সঙ্গে পুজো প্ল্যানিং শেয়ার করলেন শ্রীময়ী, অহনা, রূপসা, মানসীরা। সেই সঙ্গে জানালেন 'পুচকু'-দের ড্রেসের সংখ্যাও।
মানসী সেনগুপ্ত
শুধু পুজো বলে নয়, আমি আমার ছোট্ট সোনাকে অনেকদিন আগেই বাইরে ঘোরানো শুরু করেছি। এই পরিবেশের সঙ্গেও তো ওর অভ্যস্ত হওয়াটা দরকার। প্রতি বছর আমরা নবমীতে ঘুরতে যাই। তখন শুটিং থেকে অনেকটা ছুটি পাই। আমার বোনেরও ছুটি থাকে। তাই এই সময়টা ছাড়া ঘোরার প্ল্যানিং সম্ভব হয় না। এবারেও আমরা পাহাড়ে ঘুরতে যাচ্ছি। তবে চিকিৎসকের সব পরামর্শ মেনে অনুমতি নিয়েই যাচ্ছি। ষষ্ঠী পর্যন্ত আমার শুটিং চলবে। ওর এটা প্রথম পুজো। তাই সপ্তমী, অষ্টমী ওকে ঠাকুর দেখাব। প্রত্যেকবারের মতো এবারেও আমার পুজো একইরকম কাটবে। শুধু যোগ হয়েছে আমার ছেলে। ওকে ঘরে একা রেখে আমি ঠাকুর দেখব, এটা ভাবতেই পারি না। যা করব ওকে সঙ্গে নিয়েই। মা-ছেলে একসঙ্গে জমিয়ে ঘুরবে।
পুজোর পোশাক
আজ আমি ওর জন্য অনেকগুলো জামা অর্ডার দিলাম। জন্মের পর যা জামা পেয়েছে সেগুলোই এখনও পরাতে পারিনি। পুজোর আগে শুটিংয়েরও চাপ রয়েছে। তার মাঝেই একবার জামাগুলো কাউন্ট করার চেষ্টা করলাম, শেষ পর্যন্ত আর যাইনি।
শ্রীময়ী চট্টোরাজ
ওকে নিয়েই ঠাকুর দেখব। তবে প্রত্যেকবার যেমন সারা রাত জেগে ঠাকুর দেখি সেটা এবার হবে না। কৃষভি এখন অনেক ছোট, এতটা ধকল ও নিতে পারবে না। আমার ঠাকুর দেখতে খুব ভাল লাগে। তাই ওকে নিয়ে যতটা পারব দেখব। এটা যেমন কৃষভির প্রথম পুজো তেমনই আমার মাতৃত্বেরও প্রথম শারদীয়া। কী ভাবে একটা বাচ্চাকে ভিড়ের মধ্যে সামলাতে হয়, কোলে নিয়ে ঠাকুর দেখতে হয়, ভিড় দেখলে কেমন প্রতিক্রিয়া হয় সেগুলো আমার প্রথম অভিজ্ঞতা হবে। আমি ওর সব অ্যাক্টিভিটিগুলোর ছবি-ভিডিও করে রাখব। বড় হয়ে দেখবে। গতবার তো পেটের ভিতর থেকে ও ঠাকুর দেখেছে। এবার চাক্ষুস মা দুর্গা দর্শন করবে। এবারের পুজোটা আমার কাছে খুব স্পেশাল। একদিকে কৃষভির প্রথম পুজো আর অন্যদিকে আমার বড় পর্দায় ডেবিউ। পুজোর সময় রক্তবীজ ২-এর কিছু প্রমোশন আছে। সেটা নিয়ে খুবই উত্তেজিত।
পুজোর পোশাক
মেয়ের তো একগুচ্ছ জামা কাপড় হয়েছে। কাঞ্চন তো আমাকে কিছুতেই জামা কাপড় দেবে না। কিন্তু, আমি বলেছি কিনবই। তাই আজই আমি একটু শপিং করতে বেরিয়েছি। পুজোর সময় মেয়ে যতই জামা পাক, আমার না দিলে ভাল লাগে? মন ভরে পুজোর চারটে দিন ওকে সাজাব।
রূপসা চট্টোপাধ্যায়
যেহেতু ওর প্রথম পুজো তাই সবটুকু ওকে ঘিরে। আমার মামারবাড়িতে দেড়শো বছরের পুরনো পুজো এছাড়াও আমাদের কমপ্লেক্সে পুজো হয়, শ্বশুরবাড়ির পাড়ার পুজো তো আছেই। তাছাড়াও আমার এক দিদির বাড়িতেও দুর্গাপুজো হয়। তাই আলাদাভাবে আমার আলাদাভাবে প্যাণ্ডেলে গিয়ে ঠাকুর দেখা হয় না। বাড়ির পুজোতেই কেটে যায়। এবার ওকে কোলে নিয়ে ঠাকুর দেখব।
পুজোর পোশাক
আমার যেহেতু শুটিং চলছে তাই এখনও শপিং করতে যাওয়া হয়নি। তবে দাদু দিদার থেকে সাত-আটটা পেয়ে গিয়েছে। নিজের বাড়ি থেকে পাওয়া বাকি আছে। মা-বাবা (আমরা) তো দেবই। সারা বছর এত জামা পায়, কত জামা নতুনই রয়ে গিয়েছে।
অহনা দত্ত
মেয়ে এখন খুবই ছোট। খুব বেশি দূর যাওয়া বা রাত জেগে ঠাকুর দেখা হয়ত হবে না। তবে লোকাল ঠাকুর তো অবশ্যই দেখব। যদিও সেটা মীরার মনে থাকবে না। কিন্তু, মা-বাবা হিসেবে আমাদের কাছে এটা সুন্দর স্মৃতি হয়ে থাকবে। ওর তো মাত্র দু'মাস বয়স, এই সময়ে কিছু তো বুঝবে না, তবে মায়ের আশীর্বাদটুকু পাবে। অষ্টমীর দিন অঞ্জলির সময় আমি ওকে নিয়ে যাব। আগে যেমন দুর্গাপুজোয় রাত জাগা, হইহুল্লোড় করা সেগুলো মেয়ে হওয়ার পর প্রথম বছর খানিকটা বদলাতে তো হবেই। তার মধ্যেই যেটুকু পারব ঘুরব, ঠাকুর দেখতে আমার খুব ভাললাগে। তাই পুজোয় আমি সবসময় কলকাতাতেই থাকি। এই সময়টা বাইরে যেতে ইচ্ছে করে না।
পুজোর পোশাক
মেয়ের জন্য সেভাবে শপিং করাই হইনি। সময়ই পাচ্ছি না। তবে এর মধ্যেই করে ফেলতে হবে, হাতে তো আর বেশি সময় নেই। এবার আমি পুজোর চারটে দিনই শাড়ি পরব।