শনিবারও শারীরিক পরিস্থিতি একই ছিল ঐন্দ্রিলা শর্মার। যোদ্ধার ফিরে আসার প্রহর গুনছেন সকলেই। মানসিক ভাবে পাশে থাকার চেষ্টা করছেন। প্রার্থনা করছেন ভগবানের উদ্দেশ্যে। ফিরতেই হবে ঐন্দ্রিলাকে। হেরে গেলে চলবে না যে। সাধারণ মানুষ থেকে টলি পাড়ার অনেকেই আরোগ্য কামনা করেছেন। এবার তাঁকে চিঠি লিখলেন রান্নাঘরের সুদীপা।
সুস্থ হওয়ার পর রান্নাঘরে মাকে সঙ্গে নিয়ে এসেছিলেন ঐন্দ্রিলা। সেইদিনের এক টুকরো স্মৃতি সোশ্যাল মিডিয়ার পাতায় শেয়ার করলেন সুদীপা। আদরের ঐন্দ্রিলা বলে সম্বোধন করলেন তিনি। তারপর নিজের মনের হাজারো কথা জানালেন। অভিনেত্রী লিখলেন, "কোনোদিন চিঠি লিখতে হবে ভাবিনি। একটা কথা তোমাকে কখনো বলা হয়নি- তোমাকে বড্ড ভালোবাসি। কখন যে তুমি মনের এতটা জুড়ে হয়ে গেলে- জানতেই পারিনি..কিন্তু,আজ একটা কথা না জানালে- খুব ভুল হবে। তুমি নিজে জানো- ঈশ্বর কেন বারবার তোমাকেই এত কঠিন পরীক্ষার মুখোমুখি রেখেও,জিতিয়ে দিচ্ছেন? কারন,তুমি সবার সামনে একটা দৃষ্টান্ত তৈরী করতে পারবে। হ্যাঁ,তুমিই পারবে। সবাই পারেনা"।
আরও পড়ুন < ট্র্যাকিওস্টোমি করা হল ঐন্দ্রিলার, এখন কেমন আছেন অভিনেত্রী? >
সবাই ঐন্দ্রিলা হতে পারে না। তোমায় পারতেই হবে। সুদীপার কথায় ধরা পড়ল আবেগ এবং অনুরোধ। সে না ফিরলে যে বৃথা হয়ে যাবে এত মানুষের ভালবাসা এবং প্রার্থনা। বললেন, "হাসপাতালের সবাই যাঁরা তোমায় ফিরিয়ে আনতে অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন তাদের সব পরিশ্রম ব্যর্থ হয়ে যাবে। সারা কলকাতা তোমার জন্য প্রার্থনা করছে ঐন্দ্রিলা। সব্যসাচীর মত একজন বন্ধু, তোমার মা, পরিবার, অনুরাগীরা সকলে তোমার অপেক্ষারত"।
আরও পড়ুন < মেয়েকে কাছে পেয়েই আবেগঘন আলিয়া, জীবনের অনন্য মুহূর্তে কী বলছেন অভিনেত্রী? >
শুটিং ফ্লোরে ফেরার কথা ছিল শীঘ্রই। ভাগাড় ওয়েব সিরিজের প্রোমোশনে দেখা গিয়েছিল। ক্যামেরার সামনে যে ঐন্দ্রিলাকে ফিরতেই হবে। তাই তো সুদীপা বললেন, "শুটিং ফ্লোর তোমার মিষ্টি হাসি ফ্রেমবন্দি করতে অপেক্ষা করছে। এত অপেক্ষা মিথ্যে হতে পারে না। তুমি আসবে। অনেক আদর তোমার জন্য"। প্রতিটা মুহূর্তে লড়াই চালাচ্ছেন ঐন্দ্রিলা। হার না মেনে নিজেকে আবারও জিতিয়ে দেওয়ার লড়াই। মাঝেমধ্যে চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন। রবিবার জানানো হয়েছে অবস্থা অনেকটা স্থিতিশীল। জ্বর নেই, শ্বাসপ্রশ্বাস সবই স্বাভাবিক।
প্রসঙ্গত, ব্রেন স্ট্রোক হয়ে মঙ্গলবার হাওড়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল তাঁকে। বন্ধু সব্যসাচী আশ্বাস দিয়েছিলেন, যেভাবে তাঁকে নিয়ে এসেছিলেন ঠিক সেভাবেই হাত ধরে বাড়ি নিয়ে যাবেন।