পঞ্চভূতে বিলীন ঐন্দ্রিলা। শেষকৃত্য সম্পন্ন কেওড়াতলা মহাশ্মশানে। পাশে ছিলেন বাবা এবং প্রেমিক সব্যসাচী। শুধু তাই নয়, আবারও এক গুরুদায়িত্ব পালন করলেন সব্য।
ঐন্দ্রিলাকে সন্ধ্যে ৭টা নাগাদ নিয়ে যাওয়া হয় কেওড়াতলায়। সেখানেই অন্ত্যেষ্টি ক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে অভিনেত্রীর। জানা যাচ্ছে, বাবা উত্তম শর্মার সঙ্গেই মুখাগ্নি করেছেন সব্যসাচী নিজেও। শুধু তাই নয়, নিয়ম মেনে ঘি এর ছোঁয়া থেকে শুরু করে সবকিছুই পালন করেছেন। শেষ মুহূর্তে পা জড়িয়ে ধরে চুম্বন করতেও দেখা গেছে সব্যসাচীকে।
আরও পড়ুন < ‘ঐন্দ্রিলা নেই তাই…’, পরিবারকে সমবেদনা মীরের >
শেষযাত্রায় সঙ্গী হয়েছিলেন সব্যসাচী। কিন্তু যেন স্থির হয়ে গেছেন। তাঁর আর চাওয়া পাওয়ার কিছুই নেই। কাছের মানুষটাকে হারিয়ে পাথর হয়ে গিয়েছেন তিনি। মুখে কোনও প্রতিক্রিয়াও নেই। শুধুই শেষ মুহূর্তে একসঙ্গে বাঁচার ঝলক দেখা গিয়েছিল। পাশে ছিলেন প্রতিটা মুহূর্ত। তাই তো এই সময়েও সঙ্গ দিয়ে গেলেন। কান্নায় গলা বুজে আসছে সকলের, বাবা যেন নিজেও শক্ত থাকতে পারলেন না। বললেন, মেয়েটাকে বাড়ি ফেরাতে পারলাম না।
শেষ হয়েছে অন্তিম যাত্রা। ফুলের সাজে শেষবারের মত বাড়ি ফিরেছিলেন ঐন্দ্রিলা। দিদি সাজিয়ে দিয়েছিলেন সাধ্যমত। না ফেরার দেশে ছোট্ট ও আদরের অভিনেত্রী।