মাঝরাতে হঠাৎ চরম শোরগোল সোশ্যাল মিডিয়ায়। ঐন্দ্রিলার মৃত্যুর ভুয়ো খবর ছড়াতেই রেগে আগুন নেটপাড়া সঙ্গে ইন্ডাস্ট্রির একাংশ। সকাল হতেই এই কথা জানাজানি হতেই একহাত নিলেন সৌরভ দাস।
Advertisment
সেই প্রথম দিন থেকেই সব্যসাচীর সঙ্গে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ রেখে চলেছেন তিনি। দেখা করতেও আসছেন নিয়ম করে। ঐন্দ্রিলার অসুস্থতাকে ঘিরে প্রথম পোস্ট পর্যন্ত করেছিলেন তিনি। বন্ধুকে নিয়ে এধরনের খবর রটতেই আর ঠিক থাকতে পারলেন না সৌরভ। সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভ উগড়ে দিলেন। বললেন, "পায়ে পড়ছি তোমাদের! বেচেঁ আছে এখনো ওকে মেরে ফেলো না"।
ভেন্টিলেশনে ঐন্দ্রিলা। ফাইট করছেন প্রতি মুহুর্ত। আর তাঁর জন্য প্রার্থনা করে চলেছে বাংলার মানুষজন। বিনিদ্র রজনী কেটেছে গতকাল। হঠাৎ করেই এমন এক খবরে মনে অজানা ঝড় নেটজনতার। ঐন্দ্রিলাকে নিয়ে অজানা ভয় সকলের মনেই। সোশ্যাল মিডিয়ায় বিতর্কের শেষ নেই! তাই তো এইধরনের বাড়াবাড়ি একেবারেই পছন্দ করেছেন না সৌরভ। সোজা কলম ধরলেন, "নিশ্চিত ভিডিও বানিয়ে রাখা হয়েছে। ইমোশনাল পোস্ট নিশ্চই তৈরি যে কিভাবে তোমার সঙ্গে ওর দেখা এবং শেষ কবে মুলাকাত হয়েছিল"। সোশ্যাল দুনিয়ার আচরণে রেগে আগুন সৌরভ।
কিন্তু, সে ফিরবেই! তাঁকে ফিরতে হবেই..এসব কারণে বিরক্ত হয়ে মনের হাজার দুঃখ উজাড় করে সব্যসাচী গতকাল রাতে পোস্ট করেছিলেন, "আরও কিছুক্ষণ থাকতে দাও, এসব পোস্ট করার অনেক সময় পাবে"। কিন্তু কিছু সময় না, অনুরাগীদের মন্তব্য একেবারেই সারাজীবনের জন্য ফিরবেন ঐন্দ্রিলা, বিফলে যাবে না এত প্রার্থনা।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবারই জানা গিয়েছিল যে ঐন্দ্রিলা শর্মার শারীরিক পরিস্থিতি আরও সঙ্কটজনক। মস্তিকে নতুন করে রক্ত জমাট হয়েছে। বুধবার সকালে অভিনেত্রীর পরিস্থিতি আরও সঙ্কটজনক। হাসপাতালের তরফেই জানা গিয়েছে, একাধিকবার হার্ট অ্যাটাক হয়েছে ঐন্দ্রিলার। যা নতুন করে চিকিৎসকদের চিন্তার মাত্রা বাড়িয়েছে।