পয়লা নভেম্বর রাতে ব্রেন স্ট্রোক হওয়ায় হাসপাতালে ভর্তি হতে হয় ঐন্দ্রিলা শর্মাকে। অস্ত্রোপচারের পর থেকেই ভেন্টিলেশনে অভিনেত্রী। বিগত ২ দিন ধরে তাঁর শারীরিক পরিস্থিতি আরও সঙ্কটজনক। একাধিকবার হৃদরোগে আক্রান্ত হন ঐন্দ্রিলা। মিরাকেলের আশায় প্রহর গুণছেন সকলে। অভিনেত্রীর আরোগ্য কামনায় ঈশ্বরের কাছে নতজানু তাঁর পরিবার, সহকর্মী থেকে অনুরাগীরা। তবে এসবের মাঝে হাসপাতালের খরচ নিয়ে অনেকেই উদ্বিগ্ন।
বিশেষ করে সম্প্রতি অভিনেতা অনিন্দ্য পুলক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পোস্ট সেই হাসপাতালের খরচের জল্পনা আরও উসকে দিয়েছে। মঙ্গলবার রাতে তিনি লেখেন, "আমাদের এক জনপ্রিয় অভিনেত্রীকে সুস্থ করে ফেরত আনার জন্য ভগবানের কাছে প্রার্থনার চেয়ে অর্থের সাহায্য জরুরি কিনা, সেটা ভেবে দেখা দরকার।" নেটমাধ্যমের অনেকেই সেই পোস্টে সায় দিয়েছেন।
তাঁদের কথায়, এতদিন টানা আইসিইউতে থাকার খরচও প্রচুর। তবে ঐন্দ্রিলা শর্মা সম্ভ্রান্ত পরিবারের মেয়ে। বাবা, দিদি চিকিৎসক এবং মা পেশায় স্বাস্থ্যকর্মী। তাই আর্থিক দিক থেকে ততটাও সমস্যা থাকার কথা নয়, মত আরেকপক্ষের। যদিও আর্থিক সাহায্যের কথা অভিনেত্রীর পরিবারের তরফে কিছু জানানো হয়নি।
<আরও পড়ুন: বাজপেয়ীর জুতোয় পা গলাবেন পঙ্কজ ত্রিপাঠী! নয়া ভূমিকায় অভিনেতা>
হাওড়ার এক বেসরকারি হাসপাতালে টানা ১৮ দিন ধরে লড়াই করছেন ঐন্দ্রিলা। আইসিইউতে ভেন্টিলেশন সাপোর্টে রয়েছেন। অ্যান্টিবায়োটিক ট্র্যাকিওস্টোমি কেয়ার চলছে। সমস্ত পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে। ডাক্তাররাও কোনওরকম কসরত রাখছেন না। যেসমস্ত পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে ঐন্দ্রিলাকে তাতে যে কোনও বেসরকারি হাসপাতালেই দৈনিক ৩০-৪০ হাজার টাকা খরচা হয়। এছাড়াও ওষুধপত্র, বিশেষ প্রোটিন ডায়েট তো রয়েইছে।
ঐন্দ্রিলার চিকিৎসার ক্ষেত্রে ঠিক কতটা খরচ হয়েছে সেই হিসেব না পাওয়া গেলেও বেসরকারি হাসপাতালের নীরিখে হিসেব করলে এতদিনে ১০ লক্ষ টাকা বিল ছাড়িয়ে গিয়েছে। তবে অর্থের চেয়েও অভিনেত্রীর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরার বিষয়ে বেশি উদ্বিগ্ন ঐন্দ্রিলা শর্মার পরিবার, পরিজনরা। অনিন্দ্যর পোস্টেই অনেকেই আশ্বস্ত করেছেন যে, যদি অর্থসাহায্যের প্রয়োজন হয়, তাহলে যথাসাধ্য সাহায্য করবেন তাঁরা।