হাজার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন ঐন্দ্রিলার পরিবার। ফিরে পাননি মেয়েটাকে, লড়াই করেও সে ফিরল না। হাজারো চিকিৎসা, পন্থা অবলম্বন করেও সে ফেরেনি। আজ প্রায় ১৪ দিন, ঐন্দ্রিলা আর নেই।নিজের মেয়ের এই মৃত্যু যেন একেবারেই মেনে নিতে পারছেন না শিখা শর্মা। দায়ী করলেন চিকিৎসকদের।
বিস্ফোরক মন্তব্যের করলেন ঐন্দ্রিলার মা। সম্প্রতি ঐন্দ্রিলাকে নিয়ে একটি স্মরণসভার আয়োজন করা হয়েছিল। যেখানে উপস্থিত হয়েছিলেন তাঁর মা শিখাদেবী। মেয়েকে সবরকম চিকিৎসা সাপোর্ট দেওয়ার পরেও সে আর চোখ খুলে তাকায় নি। তবে এবার সেই অনুষ্ঠানে গিয়ে চিকিৎসকদের ওপরেই তোপ দাগলেন তিনি। হাওড়ার হাসপাতালের চিকিৎসকের দিকেই আঙ্গুল তুললেন তিনি। বললেন, "শুধু চিকিৎসকদের মধ্যে বাদানুবাদের কারণেই মেয়েটা কোমায় চলে গেল"।
আরও পড়ুন < ‘আমার সব্যর…’, মেয়ে ঐন্দ্রিলার হাসিমুখটাই দেখতে চান, স্মৃতির সাগরে ডুব মা শিখার >
সংবাদমাধ্যম এর কাছে কোনোকিছু নিয়েই মুখ খোলেননি সব্য কিংবা ঐন্দ্রিলার পরিবার। তবে এদিন, মেয়ের কথা মনে করতেই অশ্রুজল অভিনেত্রীর মা এর। বললেন, "দু বার ক্যানসারকে হারিয়ে এসেছে কিন্তু ওকে কোনোদিন কাঁদতে দেখিনি। আমার পাশেই তো সেদিন শুয়ে ছিল। হঠাৎ কি যে হল, হাত পা নাড়ল না। দশ মিনিটে কী যেন একটা হয়ে গেল। অপারেশন হল, জ্ঞান ফিরল তারপর আবার কোমায় চলে গেল। চিকিৎসা আদৌ করেছে কিনা জানি না, হাসপাতালের নার্সিং কেয়ার ভাল থাকলেও পোস্ট ট্রিটমেন্ট নিয়ে যথেষ্ট প্রশ্ন থেকে যায়"।
আরও পড়ুন < মৃত্যুর পরেও ফিনিক্স পাখি ঐন্দ্রিলা, ফিরছেন টেলিভিশনের পর্দায় >
ঐন্দ্রিলার চিকিৎসা পদ্ধতি নিয়ে বসেছিল মেডিক্যাল বোর্ড। বারবার শহরের নামকরা চিকিৎসকরা এসে ভিজিট করতেন। কিন্তু দুই ডাক্তারের মধ্যে অজানা লড়াই শুরু হয়ে যায়। অভিনেত্রীর মা বলেন, "যিনি অপারেশন করেছিলেন তিনি অমায়িক মানুষ। কিন্তু যার তত্বাবধানে ও ছিল সে একদম সহযোগিতা করেনি। MRI করাটা ঠিক হয়নি ওর পক্ষে। সকলে অনেকরকম আলোচনা করেছি কিন্তু, একজন ইগোর কারণে শুধু মেয়েটাকে কোমায় পৌঁছে দিল"।
হার্ট এ্যাটাক হতই না ঐন্দ্রিলার। কারওর অনুরোধ শোনেননি ঐন্দ্রিলার চিকিৎসক পিয়া ঘোষ। একটা মেয়ে দশবার হার্ট অ্যাটাক সহ্য করেছে। অভিনেত্রীর মায়ের কথায়, "মেয়েটার অনেক জোর ছিল। শরীরের অর্গান গুলো অনেক শক্ত ছিল। শুধু ইগোর লড়াই আমার মেয়েটাকে নিয়ে নিল"।