মেয়ে চলে গেছে আজ সাতদিন। তাও মায়ের মন তো, বিশ্বাসই হচ্ছে না। ঐন্দ্রিলা যে কাছে নেই যেন একেবারেই ভাবতে পারছেন না মা শিখা শর্মা। ঠিক যেন চাপা একটা কষ্ট। এতদিন লড়াই করেও পারলো না তাঁর ছোট্ট মিষ্টি! সোশ্যাল মিডিয়ায় উজাড় করে দিচ্ছেন মনের যন্ত্রণা।
Advertisment
সোশ্যাল মিডিয়া থেকে সরে গিয়েছেন সব্যসাচী। প্রিয় মানুষকে হারিয়েছেন, তাঁর কষ্টের পরিমাণ যে কি বিরাট সেও ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়। আর এদিকে, বোনের সঙ্গে কাটানো নানান মুহূর্ত শেয়ার করছেন ঐশ্বর্য। তাঁর শক্তি ছিলেন ঐন্দ্রিলা। চোখের জলে মেয়েকে বিদায় দিয়েছেন মা শিখা। আর শেষ কিছুদিন ধরেই নানা কিছু সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করছেন তিনি। আজ সকালেই সব্যসাচীর সঙ্গে একটি ছবি শেয়ার করলেন।
ঝুমুর ধারাবাহিকের সেই ছবি। ঐন্দ্রিলার গালে স্পর্শ করে আছেন সব্যসাচী। সেই ছবি শেয়ার করেই অভিনেত্রীর মা লিখলেন, "আমার সব্যর ঐন্দ্রিলা"। দিনরাত মেয়ের স্মৃতি হাতড়ে বেরাচ্ছেন তিনি। পুরনো দিনের হাসিখুশি মুহুর্তের সব ভিডিও শেয়ার করেছেন। আর বাকিটা জীবন সেইসব স্মৃতি নিয়েই তো বাঁচতে হবে। বাকি কিছুই আর নেই।
দুবার ক্যানসারকে হারিয়ে ফিরে এসেছিলেন ঐন্দ্রিলা। তারপরেও যে মেয়েকে এত তাড়াতাড়ি হারাতে হবে ভাবতে পারেননি কেউই। লড়াই করেছিলেন প্রত্যেকে। আর সব্যসাচী তাঁকে নিয়ে যত বলা হোক, সেটাই কম! শেষদিন পর্যন্ত ঐন্দ্রিলার হাতটা শক্ত করে ধরে রেখেছিলেন তিনি। বেনারসী, ফুলের গয়না, রাজবেশে সেজেগুজে যাত্রা করেছিলেন ঐন্দ্রিলা। বোনকে সাজিয়ে দিয়েছিলেন দিদি ঐশ্বর্য।
মেয়ের হাসিমুখটাই চিরজীবন দেখতে চান শিখাদেবী। তাই তো, সকলের কাছে মেয়ের শোয়ের ভিডিও দেখতে চাইছেন তিনি। এত যুদ্ধের পরেও নিজের সঙ্গে বেঁধে রাখতে পারলেন না মেয়েকে? ভাবলেই ঘিরে ধরেছে যন্ত্রণা। ঐন্দ্রিলার মৃত্যুর পর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরে বেরাচ্ছে নানান ভিডিও। এমনকি সেগুলি ভাইরালও হচ্ছে ঝড়ের গতিতে। “সব্যকে নিয়ে ভুল খবর রটালে সেই মিডিয়ার বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ পর্যন্ত নেওয়া হবে”, সাবধান করেছিলেন সৌরভ। পরিবারের মানুষগুলোকে শান্তিতে থাকতে দিন। হাত জোর করে অনুরোধ করেছেন অভিনেতা।