দিন দুয়েক আগের কথা। ঐন্দ্রিলা শর্মার (Aindrila Sharma) সঙ্কটজনক পরিস্থিতিতে সব্যসাচী চৌধুরি সকলের কাছে কাতর আর্জি জানিয়ে বলেছিলেন, মন থেকে ওঁর জন্য ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করুন। সেই প্রেক্ষিতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ছেয়ে যায় পোস্ট। অভিনেত্রীর দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন সকলেই। এরপরই কাকতালীয়ভাবে ঋত্বিক চক্রবর্তী (Ritwick Chakraborty) এক পোস্ট করেন। যা নিয়ে শুরু হয় বিতর্ক। এবার বিতর্কেই পাল্টা ঋত্বিককে খোঁচা দিলেন সব্যসাচী।
ঋত্বিক লিখেছিলেন, "অনেকেই দেখি নানা কারণে ফেসবুকে প্রার্থনা করেন। কিন্তু যার কাছে প্রার্থনা করা হয় তিনি ফেসবুক করেন তো?" এমন পোস্ট দেখে নেটদুনিয়ার একাংশ ঝাঁপিয়ে পড়ে অভিনেতাকে কটাক্ষ করেন। ঐন্দ্রিলার এহেন শারীরিক পরিস্থিতিতে এই ঋত্বিকের এমন পোস্টকে অমানবিক বলে আখ্যা দেন তাঁরা। যদিও বিতর্কে পড়ে ঋত্বিক চক্রবর্তী পরবর্তী পোস্টে ক্ষমা চেয়ে নন। তবে এই কঠিন সময়ে সেই খোঁটা ভুলতে পারেননি সব্যসাচী। অতঃপর শুক্রবার গভীর রাতে ঐন্দ্রিলার খবরাখবর দেওয়ার পোস্টে ঋত্বিকের নাম না করেই জবাব দেন তিনি।
সব্যসাচী (Sabyasachi Chowdhury) সাফ লেখেন, ঈশ্বর ফেসবুক করেন না আমি জানি। তাই লিখেছিলাম মন থেকে প্রার্থনা করুন। ‘ফোন’ থেকে করুন লিখিনি। চিকিৎসাশাস্ত্রে যে বিজ্ঞানই শেষ কথা, আমি সে কথাও জানি। তবে পরপর তিনজন নিউরোসার্জন যদি বলেন ‘ঈশ্বরকে ডাকুন’, তাহলে আর না ডেকে উপায় কি? ওনাদের তুলনায় আমি নিতান্তই অশিক্ষিত। তবে কেবল আমি একা নই, মুর্শিদাবাদের প্রতিটা মন্দির, প্রতিটা মসজিদে মানুষ ওর জন্য প্রার্থনা করেছে। বিভিন্ন ধর্মের বিভিন্ন প্রসাদ এবং অজস্র আশীর্বাদী হাসপাতালে এসেছে নিয়মিত।
<আরও পড়ুন: জিয়াগঞ্জের প্রতিটা মন্দির-মসজিদে প্রার্থনা, ঐন্দ্রিলার পাশে অরিজিৎ সিং>
এরপরই ঐন্দ্রিলার প্রেমিক সব্যসাচী চৌধুরি এও যোগ করেন যে, "তোমাদের সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে আমি ছোট করতে পারব না। অনেকে অবশ্য হেসেছে বা অপমান করেছে। তাতেও আমি বিন্দুমাত্র কিছু মনে করিনি। এই ক্ষুদ্র জীবনে বহুবার কাদায় পড়েছি তো, তাই গায়ের চামড়া বেশ মোটা হয়ে গেছে।" সব্যাসাচী নামোল্লেখ না করলেও 'ঈশ্বরের ফেসবুক করা' প্রসঙ্গ উত্থাপন করাতে এটা পরিস্কার যে, তিনি পাল্টা ঋত্বিক চক্রবর্তীকেই জবাব দিয়েছেন।