/indian-express-bangla/media/media_files/2025/09/18/hum-dil-chuke-sanam-2025-09-18-16-55-26.jpg)
ভয়ঙ্কর সব তথ্য প্রকাশ্যে...
বলিউডের চর্চিত তারকা ঐশ্বর্য রাই বচ্চনের জীবনের নানা উত্থান-পতন ঘনিষ্ঠভাবে প্রত্যক্ষ করেছেন বিজ্ঞাপন গুরু প্রহ্লাদ কক্কর। অভিষেক বচ্চনের সঙ্গে বিবাহের আগে ঐশ্বর্য মুম্বইয়ের যে বাড়িতে মায়ের সঙ্গে থাকতেন, সেই একই আবাসনে থাকেন প্রহ্লাদ। অভিনেত্রীর ক্যারিয়ারের শুরুতেই তিনি ছিলেন পরামর্শদাতা ও গাইডের ভূমিকায়।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে প্রহ্লাদ অকপটভাবে জানান, ঐশ্বর্যর জীবনের সবচেয়ে বেদনাদায়ক অধ্যায়গুলোর একটি ছিল, সলমন খানের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের সময়টা। প্রহ্লাদের ভাষায়, "সলমনের জন্যই ও ইন্ডাস্ট্রির তরফে সবচেয়ে বড় আঘাত পেয়েছিল। এটি একেবারেই একতরফা ছিল। ঐশ্বর্যকে ভীষণভাবে বিশ্বাসঘাতকতার সঙ্গে যুজতে হয়েছিল।" তাঁর মতে, সম্পর্ক ভাঙলেও সেটিই আসলে ঐশ্বর্যর ক্যারিয়ারে, গভীর প্রভাব ফেলে। ইন্ডাস্ট্রির প্রতি আস্থা নষ্ট হয়ে যায় এবং কাজের প্রতি তাঁর পুরনো প্রতিশ্রুতি ভেঙে পড়ছিল ক্রমাগতই।"
অন্যদিকে, ‘হাম দিল দে চুকে সনম’-এর সহ-অভিনেত্রী স্মিতা জয়করের মতে, সলমন–ঐশ্বর্যর অনস্ক্রিন রসায়ন আসলে বাস্তব আবেগ থেকেই তৈরি হয়েছিল। "তাদের চোখে চোখে যে রোম্যান্স ফুটে উঠত, সেটাই ছবির প্রাণ হয়ে উঠেছিল।" তবে একই ছবিতে কাজ করা শিবা চাড্ডা ভিন্ন অভিজ্ঞতার কথা জানান। তাঁর স্মৃতিতে সলমন ছিলেন বেশ মেজাজি। এমনকি অভিনেত্রীর গায়ে হাত দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শারীরিক অত্যাচারের শিকার হতে হত রীতিমতো। শিবা জানান, একবার শুটিং চলাকালীন হোঁচট খেয়ে তিনি রাগে সেট ছেড়ে চলে যান, এমনকি সেই ঘটনায় এক বৃদ্ধ লাইটম্যান আহত হয়েছিলেন।
শিবার আরেকটি অভিজ্ঞতা ইঙ্গিত দেয় সালমানের ‘পজেসিভ’ স্বভাবের দিকে। ছবির ক্লাইম্যাক্স দৃশ্যে ঐশ্বর্যকে আলিঙ্গন করার কথা ছিল সলমনের। কিন্তু সালমান স্পষ্ট জানিয়ে দেন, তিনি দৃশ্যটি করবেন না। শুটিং বন্ধ হয়ে যায় এবং অবশেষে পরিচালক সঞ্জয় লীলা বনসালি তাঁকে রাজি করান।