প্রসঙ্গত, ১৯৯৮ সালে 'হাম দিল দে চুকে সনম' সিনেমার পর ফের ২ দশক বাদে সঞ্জয় লীলা বনশালি ছবিতে অভিনয় করলেন অজয় দেবগণ। মাঝে ২২ বছর বনশালির একাধিক ব্লকবাস্টার সিনেমা রিলিজ হলেও অজয় দেবগণকে কোনও ছবিতে দেখা যায়নি। তবে এবার যখন পরিচালকের সঙ্গে দু দশক বাজে গাঁটছড়া বাঁধলেন, তখন একেবারে লুকেই শোরগোল ফেলে দিয়েছেন অজয় দেবগণ। অন্যদিকে খ্যাতনামা দক্ষিণী পরিচালক এসএস রাজামৌলীর RRR ছবির পর আবারও আলিয়ার সঙ্গে এক ছবিতে স্ক্রিনস্পেস শেয়ার করলেন অজয়।
উল্লেখ্য, এর পাশাপাশি আরেক সুখবরও রয়েছে। আলিয়া ভাট, অজয় দেবগণ অভিনীত ‘গাঙ্গুবাই কাঠিয়াওয়াড়ি’র প্রিমিয়ার হবে ৭২তম বার্লিন ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে। হুসেইন জায়েদির লেখা ‘মাফিয়া ক্যুইনস অফ মুম্বই’-এর আঁধারেই তৈরি হয়েছে এই ছবি। গাঙ্গুবাই কাঠিয়াওয়াড়ি, ষাটের দশকের মুম্বইয়ে এই একটি নামেই কাঁপন ধরত মায়ানগরীর ডন-মাফিয়াদের। তৎকালীন যৌনপল্লি কামাথিপুরার ডাকসাইটে মহিলা তিনি। অনেকের কাছে তিনি ‘মুম্বই মাফিয়া কুইন’ নামেই পরিচিত। যাঁর অনুমতি ছাড়া কামাথিপুরার অন্ধকার গলিতে যেমন সূর্যের আলো ঢোকা নিষিদ্ধ ছিল, ঠিক তেমনই গাঙ্গুবাইয়ের অঙ্গুলি হেলন ব্যতীত কোনও কাক-পক্ষীর প্রবেশের উপরও নিষেধাজ্ঞা জারি ছিল। মাত্র ৫০০ টাকার বিনিময়ে নিজের স্বামীর হাতে যৌনপল্লীতে বিক্রি হওয়াা মহিলাই নিজেকে একদিন প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেত্রী হিসেবে। গণিকালয় থেকে রাজনীতিক হওয়ার যাত্রা নেহাতই সুখকর ছিল না তাঁর। কামাথিপুরার সেই ডাকসাইটে মহিলার জীবনকাহিনিই এবার আলিয়া ভাটের হাত ধরে পর্দায় ফুটে উঠতে চলেছে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন