অতিমারী আবহে সিনেমাহলের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি ছিল। আংশিক দরজা খুললেও সিনেপ্রেমীরা কিন্তু বেজায় হতাশ হয়ে পড়েছিলেন। কারণ বড়পর্দায় ছবি দেখার মজাই আলাদা। তাই এযাবৎকাল দর্শকরা মুখিয়ে ছিলেন 'সূর্যবংশী'র (Sooryavanshi) মতো আদ্যোপান্ত মশালা ছবির জন্য। আর পরিচালকের আসনে যেখানে রোহিত শেট্টি (Rohit Shetty), সেখানে ধুন্ধুমার অ্যাকশন সিকোয়েন্স থেকে গদগদ রোম্যান্স, মুচমুচে চিত্রনাট্য যে থাকবেই, তা বলাই বাহুল্য। শেষমেশ অপেক্ষার অবসান। শুক্রবারই মুক্তি পেয়েছে 'সূর্যবংশী'। আর এক দিনের মাথাতেই বক্স অফিসে কাঁপন ধরাল রোহিত-অক্ষয় জুটির এই ছবি।
কথাতেই আছে, সবুরে মেওয়া ফলে! 'সূর্যবংশী'র ক্ষেত্রেও তাই প্রমাণিত হল। কারণ, আগে ওটিটি রিলিজের কথা ছিল। পরে এই বিগ বাজেট ছবিকে সিনেপর্দায় নিয়ে আসার কথা ভাবেন নির্মাতারা। আর ব্যবসায়িক দিক থেকে যে সেই সিদ্ধান্ত একেবারে মন্দ হয়নি, তা বলাই বাহুল্য। কারণ প্রথমদিনেই ছক্কা হাঁকিয়ে ফেলেছে অক্ষয় কুমারের 'সূর্যবংশী'।
<আরও পড়ুন: ‘টিপ টিপ বরসা’ গানের রিমেকে আগুন লাগালেন ক্যাটরিনা, টেক্কা দিলেন রবীনাকে>
সিনে বাণিজ্য বিশ্লেষক তরণ আদর্শের কথায়, "৫০ শতাংশ দর্শক নিয়ে হল চললেও প্রথমদিনেই 'সূর্যবংশী'র বক্স অফিস আয় প্রায় ২৭ কোটি।" সেই প্রেক্ষিতে সপ্তাহান্তে এই সিনেমা যে ৫০ কোটি ছাড়াবে, তা আন্দাজ করাই যায়।
সিংঘম, সিম্বার মতোই রোহিত শেট্টির কপ ইউনিভার্সের 'সূর্যবংশী'কেও মন খুলে স্বাগত জানিয়েছেন দর্শকরা। তরণ বলছেন, "শুরুটাই তো ধামাকাদার। সিনেমাহল-ই ইন্ডাস্ট্রির বড় বাজার। এখান থকেই ৩০-৪০ শতাংশ আয় হয়।"
প্রসঙ্গত, বিশ্বের মোট ৫ হাজার প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে রোহিত শেট্টি পরিচালিত তথা অক্ষয় কুমার (Akshay Kumar) ও ক্যাটরিনা কাইফ (Katrina Kaif) অভিনীত 'সূর্যবংশী'। দর্শকদের মধ্যে এই ছবি নিয়ে উন্মাদনা এতটাই যে, কোথাও কোথাও ভোর সাড়ে চারটের সময় শো রাখতে বাধ্য হয়েছেন হল মালিকেরা।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন