/indian-express-bangla/media/media_files/2025/01/21/Nzon3y8HiC5601KXNOhR.jpg)
'ম্যায় খিলাড়ি তু আনাড়ি' পর সিনেমা করলে নাম হবে 'দো খিলাড়ি': অক্ষয়
Akshay Kumar Praised Saif Ali Khan Bravery: মঙ্গলবারই লীলাবতী হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরছেন পতৌদি নবাব সইফ আলি খান। ১৫ জানুয়ারি বুধবার গভীর রাতে বাড়ি ঢুকে সইফের উপর হামলা চালায় দুষ্কৃতী। ছ'বার ছুরিকাঘাত। পিঠে গেঁথে যাওয়া ছুরি অস্ত্রোপচারের পর বের করা সম্ভব হয়েছে। একটি নয়, দুটি অস্ত্রোপচার হয়েছে সইফের। ধীরে ধীরে সুস্থ হচ্ছেন তিনি। পরিবারকে রক্ষা করতে সইফ আলি খান নিজের প্রাণকে বাজি রাখেন। নিজের ছবির প্রচারে ছোটে নবাবকে কুর্নিশ জানিয়েছেন বলিউডের খিলাড়ি অক্ষয় কুমার।
দিল্লিতে সাংবাদিক সম্মেলনে স্কাই ফোর্সের প্রচার করছিলেন আক্কি। সেখানেই সইফ আলি খানের উপর হামলার বিষয়টি উত্থাপন করেন অক্ষয়। বন্ধু ও সহকর্মীকে সাধুবাদ জানিয়ে অক্ষয় বলেন, 'সইফ এখন ভাল আছে এটা সবচেয়ে ভাল খবর। ইন্ডাস্ট্রির প্রত্যেকে ওঁর জন্য খুশি। পরিবারকে রক্ষা করতে ও যেভাবে ঝাপিয়ে পরেছিল তা নিঃসন্দেহে সাহসীকতার নজির গড়েছে। ওকে স্যালুট।'
সইফের প্রশংসা করার পর মজা করে আক্কি কিন্তু, তাঁদের পরবর্তী ছবিরও একটা ইঙ্গিত দিয়ে দিলেন। বলিউডের খিলাড়ি বলেন, 'আমি ওঁর সঙ্গে একটা সিনেমা করেছিলাম। যেটার নাম ছিল ম্যায় খিলাড়ি তু আনারি। কিন্তু, এবার যে ছবিটি করব সেটির নাম হবে 'দো খিলাড়ি।' মঙ্গলবারই বাড়ি ফিরবেন সইফ আলি খান। 'সৎগুরু শরণ'-এ তাঁর জন্য অপেক্ষা করছেন স্ত্রী ও সন্তানরা। ডাঃ নীতিন ডাঙ্গে জানিয়েছেন, মঙ্গলবার সকাল ১০ টা থেকে ১২ টার মধ্যে সইফকে ছেড়ে দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন মঙ্গলে ঘরে ফেরার পালা, হাসপাতালে ভর্তির ৬ দিন পর বাড়ি ফিরছেন পতৌদি নবাব সইফ
সোমবারই সমস্ত অফিসিয়াল কাজ হয়ে গিয়েছে বলেই খবর। চিকিৎসকরা প্রথমে মনে করেছিলেন সোমবারই সইফকে ছেড়ে দেওয়া হবে। কিন্তু, আরও কিছুক্ষণ তাঁকে তত্ত্বাবধানে রাখা প্রয়োজন। সেই জন্যই মঙ্গলবার ছাড়া হচ্ছে সইফকে। ঘটনার পর এতটাই আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন নবাব বেগম করিনা কাপুর খান তাঁকে নিজের বাড়ি নিয়ে গিয়েছিলেন দিদি করিশ্মা কাপুর। সইফের বাড়ি ফেরার আগে সোমবার বিকেলেই 'সৎগুরু শরণ'-এ তৈমুর-জেহকে নিয়ে ফিরেছেন বেবো।
সইফের বোন সাবা জানিয়েছেন, এখন তিনি অনেকটাই ভাল আছেন। ইনস্টা স্টোরিতে সাবা সইফ আলি খানের হেলথ আপডেট শেয়ার করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, 'ভাইয়ের সঙ্গে সময় কাটিয়ে বেশ ভাল লাগল। ওঁর মধ্যে পজিটিভি ভাইব দেখে খুশি হলাম। ধীরে ধীরে সুস্থ হচ্ছেন। পরিবারের সঙ্গে থাকতে পেরে ভাল লাগছে। এভাবেই যেন সর্বদা নিজের পরিবারের সকলে একসঙ্গে থাকি।'