২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সাক্ষাৎকার নিয়ে গোটা দেশে তোলপাড় ফেলে দিয়েছিলেন অক্ষয় কুমার। রাজনৈতিকমহলের অন্দরেও কম চাপানোতর হয়নি। কারণ, বলিউডি সিনেমা করে টাকা কামালেও কিংবা ভারত তাঁকে সুপারস্টার বানালেও কানাডার নাগরিকত্ব জিইয়ে রেখেছিলেন অক্ষয় কুমার। অতঃপর তুমুল কটাক্ষ-সমালোচনার মুখে পড়তে হয় অভিনেতাকে।
এমনকী, অনেকেই ঠাট্টা করে 'কানাডিয়ান কুমার' তকমা সেঁটেছেন সুপারস্টারের নামের পাশে। তবে এবার শেষমেশ কানাডার নাগরিকত্ব ছেড়ে পাকাপাকিভাবে ভারতীয় পাসপোর্টের আবেদন করেছেন অক্ষয় কুমার। তবে শখ করে কানাডার নাগরিকত্ব নেননি অভিনেতা। এর নেপথ্যে রয়েছে এক করুণ কাহিনী। নিজেই সেকথা ফাঁস করলেন।
অক্ষয় বললেন, "মানুষ না জেনেই অনেক মন্তব্য করে ফেলেন। তখন খারাপ লাগে। ভারতই আমার কাছে সবকিছু। আমি যা কিছু উপার্জন করেছি, পেয়েছি সব এখান থেকেই। আর আমি ভাগ্যবান যে, দেশের জন্য় কিছু করার সুযোগও পেয়েছি। বক্সঅফিসের খারাপ ফল-ই আমাকে কানাডার দিকে ঠেলে দিয়েছিল।"
৯০ দশকের কথা। পরপর ১৫টি ফ্লপ ফিল্মের জেরে একেবারে কানাকড়িও খোয়াতে বসেছিলেন অক্ষয়। হাতে কোনও সিনেমা ছিল না। মুখ ফিরিয়েছিলেন প্রযোজক-পরিচালকরাও। ফ্লপ অভিনেতাকে কে কাস্ট করবে? বক্সঅফিসে একের পর এক সিনেমা যখন মুখ থুবড়ে পড়ছিল, তখন হতাশা গ্রাস করেছিল অক্ষয় কুমারকে। রোজগার করে পেট তো চালাতে হবে। ঠিক তখনই কানাডার এক বন্ধুর সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
<আরও পড়ুন: আজান শুনেই মাথা নুইয়ে গান থামালেন, মঞ্চে স্তব্ধতা! ভাইরাল ‘শিখ’ শেহনাজের কীর্তি>
অক্ষয়ের কানাডাবাসী বন্ধু তাঁকে সেখানে কাজের জন্য ডেকে নেন। সেইসময়ে অক্ষয় কুমারের ২টো সিনেমা মুক্তির অপেক্ষায় ছিল। তবে মন্দা বাজারে সকলেই ভেবেছিলেন, এই দুটোও বোধহয় ফ্লপ-ই হবে। হাল ছেড়ে দিয়েছিলেন অক্ষয়ও। কানাডায় গিয়ে নাগরিকত্বের আবেদন করতেই পেয়ে যান। তবে অক্ষয় কুমারের ভাগ্যচক্র ঘুরল ঠিক সেইসময়েই। যে ২টো সিনেমা মুক্তির অপেক্ষায় ছিল, সেগুলো পরপর সুপারহিট হল। বন্ধুও অভিনেতাকে পরামর্শ দেন যে, ফিরে যা। কাজ কর..।
এরপর থেকেই একের পর এক কাজ হাতে আসতে থাকে খিলাড়ি কুমারের। অক্ষয় বললেন, ততদিনে সেই কানাডার পাসপোর্টের কথা মনেও ছিল না আমার। কখনও পাসপোর্ট বদলানোর কথা ভাবিওনি। তবে হ্যাঁ, এবার আমি ভারতীয় নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করে দিয়েছি।