Alia Bhatt and Imran Khan: সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচনের আর দু'দফা বাকি। আর মাত্র তিনটি রাজ্যে নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে চলেছে আগামী ১২ মে ও ১৯ মে। ইতিমধ্য়েই মুম্বইয়ের নির্বাচন সম্পন্ন। জাতীয় স্তরের তারকাদের সবারই প্রায় ভোট দেওয়া হয়ে গিয়েছে। ওদিকে ভারতীয় পাসপোর্ট নেই বলে অক্ষয়কুমার বেশ ট্রোলড হয়েছেন। সেই ট্রোল নিয়ে চাপানউতোরও হয়েছে। কিন্তু অক্ষয়কুমার ছাড়াও আরও বেশ কয়েকজন বলিউড তারকা রয়েছেন যাঁদের ভারতীয় পাসপোর্ট নেই এবং তাঁরা দেশের সাধারণ নির্বাচনে অংশ নিতে অক্ষম। ক্য়াটরিনা কাইফ বা জ্য়াকলিন ফার্নান্ডেজ যে জন্মসূত্রে ভারতীয় নন সেটা অনেকেরই জানা। আবার সানি লিওনি অথবা নারগিস ফকরি কেন ভোট দিতে পারেন না সেটাও সবাই জানেন। কিন্তু আলিয়া-ইমরানের বিষয়টি বহু বলিউড ফ্য়ানেরই অজানা।
সানি-জ্যাকলিন-ক্য়াটরিনা-নারগিস--- এঁরা কেউই বলিউডের ফিল্মি পরিবারের অংশ ছিলেন না। এঁরা সবাই বড় হয়েছেন অন্য দেশে, কেউ ইংল্য়ান্ডে, কেউ শ্রীলঙ্কায় বা কেউ পাকিস্তানে। তার পরে এসেছেন বলিউডে কাজের সূত্রে। তাই তাঁদের ভোট দেওয়া নিয়ে কখনও এদেশের বলিউডের ফ্য়ানেরা মাতামাতি করেননি। কিন্তু আলিয়া ভাট যে মহেশ ভাটের মেয়ে আর ইমরান খান যে আমির খানের আপন ভাগ্নে! মজার বিষয় হল, এই দুই তারকাই জন্মসূত্রে ভারতীয় হলেও এঁদের ভারতীয় পাসপোর্ট নেই।
আরও পড়ুন: রাজ কাপুরকে ফিরিয়ে দেন সত্য়জিৎ, রবি-তপেনকে নিয়েই হয় ছবি
আলিয়া ভাটের রয়েছে ব্রিটিশ নাগরিকত্ব এবং ইমরানের খানের রয়েছে মার্কিন পাসপোর্ট। আলিয়ার মা সোনি রাজদানের জন্ম হয় ইংল্যান্ডের বার্মিংহামে। তাঁর মা ছিলেন জার্মান ও বাবা কাশ্মীরী ব্রাহ্মণ। কিন্তু সোনির বাবা ইংল্যান্ডেই বসবাস করেছেন এবং ইংল্যান্ডের মাটিতে জন্ম নেওয়ার জন্য় সোনির নাগরিকত্ব ব্রিটিশ। মায়ের সূত্রেই আলিয়া ব্রিটিশ নাগরিকত্ব পেয়েছেন, মুম্বইতে জন্ম নেওয়া সত্ত্বেও। সেক্ষেত্রে তাঁর ভারতীয় নাগরিকত্বও পাওয়ার কথা। যেহেতু ডুয়াল সিটিজেনশিপ এদেশে স্বীকৃত নয় তাই মায়ের সূত্রে পাওয়া ব্রিটিশ নাগরিকত্বই শুধুমাত্র রয়েছে আলিয়ার। ভারতীয় নাগরিকত্ব পেতে গেলে ব্রিটিশ নাগরিকত্ব ত্যাগ করতে হবে তাঁকে। যে কোনও কারণেই হোক, আলিয়া সেটা এখনও পর্যন্ত করে উঠতে পারেননি বা চাননি।
ওদিকে ইমরান খানের জন্ম আমেরিকার উইসকনসিন প্রদেশের ম্য়াডিসন শহরে। প্রাথমিকভাবে ইমরানের নাম ছিল ইমরান পাল। ইমরানের বাবা অনিল পালকে বলা যায় হাফ-বাঙালি। কারণ তাঁর মা অর্থাৎ ইমরানের দিদিমা ছিলেন ব্রিটিশ। অনিল পালের সঙ্গে ইমরানের মা, আমির খানের বোন নুঝৎ খানের বিয়ে বেশিদিন টেঁকেনি। বিবাহবিচ্ছেদের সময়ে ইমরান ছিলেন নেহাত শিশু। এর পরে ইমরানকে নিয়ে নুঝৎ দেশে ফিরে আসেন এবং রাজ জুৎসিকে বিয়ে করেন। পাল পদবি বাদ দিয়ে খান পদবি দেওয়া হয় ইমরানকে। বাবা বলতে কিন্তু এখন রাজ জুৎসিকেই বোঝেন ইমরান এবং অত্যন্ত ভালবাসেন। সেকথা বহুবারই বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে প্রকাশ পেয়েছে। কিন্তু ব্যক্তিগত জীবনে এতকিছু অদলবদলের পরেও পাসপোর্টটি থেকে যায় মার্কিন। অর্থাৎ মার্কিন নাগরিকত্ব রয়েছে ইমরানের, ভারতীয় নয়।
আরও পড়ুন: প্রাক্তন প্রেমিকই ইনস্টাগ্রাম করতে শিখিয়েছিলেন ক্য়াটরিনাকে
আলিয়ার মতো তিনিও বিদেশী নাগরকিত্ব বর্জন করে ভারতীয় নাগরিকত্বের জন্য় আবেদন করেননি। তাই এখনও পর্যন্ত আলিয়া এবং ইমরান, এঁদের কারোরই ভোটাধিকার নেই।