সদ্য 'গাঙ্গুবাই কাঠিয়াওয়াড়ি'র ট্রেলার প্রকাশ্যে এসেছে। যেখানে আলিয়া ভাটের চরিত্রের পাশাপাশি রাজিয়া বাঈয়ের ভূমিকায় নজর কেড়েছেন বিজয় রাজ। প্রথম ঝলকেই নিজের চরিত্রের ঝাঁজ বুঝিয়ে দেন বিজয়। গাঙ্গুবাঈয়ের পাশাপাশি কামাথিপুরার আরেক ডাকসাইটে গণিকার ভূমিকায় দেখা গিয়েছে তাঁকে। এই কামাথিপুরা রাজিয়া বাঈয়ের ছিল, আছে এবং থাকবে.. ট্রেলারের এই কেতাদুরস্ত সংলাপ আর অভিব্যক্তিতেই দর্শকদের চোখ টেনেছেন বিজয় রাজ। তবে নেটিজেনদের একাংশ প্রশ্ন তুলেছেন তাঁর কাস্টিং নিয়ে।
সমালোচকদের প্রশ্ন, ট্রান্স-চরিত্রে কেন একজন পুরুষকে দিয়ে অভিনয় করালেন বনশালি? পরিচালক এপ্রসঙ্গে কোনওরকম কথা না বললেও সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বিজয় রাজের কাস্টিং বিতর্ক নিয়ে মুখ খুলেছিলেন আলিয়া ভাট। অভিনেত্রীর কথায়, "পরিচালকের হয়তো মনে হয়েছে যে বিজয়ের মতো একজন দক্ষ, ভার্সেটাইল অভিনেতাকে ট্রান্স চরিত্রের জন্য কাস্ট করলে দারুণ বিষয় হবে, তাই। কারণ দর্শকরা এর আগে কখনও বিজয়কে এহেন চরিত্রে দেখেননি।"
<আরও পড়ুন: ‘বন্ধু’ করণ জোহরকে জেলে পুরতে চাইছেন কঙ্গনা!>
সম্প্রতি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস-এর এক সাক্ষাৎকারে আলিয়া ভাট এও বলেছিলেন যে, "অনেকে তো আমার কাস্টিং নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিলেন। কারণ, তাঁদের মনে হয়েছিল কামাথিপুরার ডাকসাইটে গণিকা গাঙ্গুবাই মানেই চেহারা একটা রাশভারী ব্যাপার থাকতে হবে। এযাবৎকাল আমার ব্যক্তিত্ব কিংবা আমার চেহারা, মুখের গড়ন দেখে মানুষের ধারণা জন্মেছে যে, আমার মধ্যে মিষ্টি, ছোট্টখাট্ট, চঞ্চল খুব নরম প্রকৃতির বিষয় রয়েছে। তাই আমার মতো একজন অভিনেত্রীকে কীভাবে গাঙ্গুবাইয়ের ভূমিকায় মানাবে? আমি জানি, এহেন সমালোচনা, কথাবার্তা কাদের কাছ থেকে আসছে, কারণ বনশালি যখন নিজে আমাকে গল্পটা শুনিয়েছিলেন আমারও তাই ধারণা হয়েছিল। আমিও ভেবেছিলাম যে, এমন রাশভারী চরিত্রকে কি আমি তুলে ধরতে পারব? কিন্তু এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর একজনই। তিনি সঞ্জয় লীলা বনশালী। গত ২৫ বছর ধরে ইন্ডাস্ট্রিতে উন্নতমানের কাজ করে আসছেন। ওঁর একটা অভিজ্ঞতা রয়েছে। উনি এমনি এমনি কিছু করবেন না।"
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন