লকডাউন নাকি ছুটি, বাস্তবের আয়না অম্বরীশের 'গলদা চিংড়ি'

অভিনেতা অম্বরীশ ভট্টাচার্য যে বেজায় খেতে ভালবাসেন তা সবারই জানা। কিন্তু তাই বলে এই সময়েও! না, এখানেই অন্য চিত্র তুলে ধরেছেন অভিনেতা।

অভিনেতা অম্বরীশ ভট্টাচার্য যে বেজায় খেতে ভালবাসেন তা সবারই জানা। কিন্তু তাই বলে এই সময়েও! না, এখানেই অন্য চিত্র তুলে ধরেছেন অভিনেতা।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

অম্বরিশ ভট্টাচার্য।

কথাতেই বলে রসে বশে বাঙালি। মাছ ছাড়া তাদের দিনযাপন একপ্রকার অসম্ভব। বাজারে গিয়ে বেছে মাছটা কিনে না আনলে মাছে-ভাতে দুপুরের খাওয়াটাই তো মাটি। তা সে প্রলয় আসুক কিংবা লকডাউন। এই রুটিনে কোনও বদল নেই। আর অভিনেতা অম্বরীশ ভট্টাচার্য যে বেজায় খেতে ভালবাসেন তা সবারই জানা। কিন্তু তাই বলে এই সময়েও!

Advertisment

বাজারের ব্যাগটা সঙ্গে করেই সবে বেরোচ্ছেন এমন সময়ে খবরের চ্যানেল থেকে ফোন। প্রশ্ন, এই সময়ে নিন্ম মধ্যবিত্ত মানুষদের অবস্থা তো সমীচীন! তা নিয়ে আপনার কী মত? তাঁর উত্তর ছিল, ''প্রয়োজনে অল্প খেয়ে কৃচ্ছ্রসাধন করে সেই মানুষগুলোর মুখে অন্ন তুলে দিতে হবে।''

আরও পড়ুন, দুর্গা থেকে লীনা! ‘সেনাপতি’-তে ভিন্ন মেজাজে ধরা দেবেন সঙ্ঘমিত্রা

আসলে এই পুরোটাই অম্বরীশের নতুন ছবির চিত্রনাট্য। লকডাউনে নিজের বাড়িতে বসে, সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে ছোট ছবি তৈরি করেছেন দেবেশ চট্টোপাধ্যায়। ছবির নাম গলদা চিংড়ি। সমাজের রূঢ় চিত্র তুলে ধরেছেন পরিচালক। আমরা মুখে যতই গরিব মানুষের কথা বলি না কেন, আদতে নিজেদের পাত পেড়ে খাওয়ার সন্ধিক্ষণে সবটা ভুলে যাই।

Advertisment

আরও পড়ুন, করোনায় আক্রান্ত সাংসদ-অভিনেত্রীর বাবা, হোম কোয়ারেন্টাইনে মা ও বোন

ছবির চিত্রনাট্য ও ভাবনা দেবেশ চট্টোপাধ্যায়ের। শুট করেছেন প্রসেনজিৎ চক্রবর্তী। সম্পাদনাও নাট্যকারের। ছবিতে অম্বরিশ নাট্যকার কল্লোল চট্টোপাধ্যায়।

প্রসঙ্গত, বর্তমান পরিস্থিতিকেই প্রকাশ্যে তুলে এসেছে এই ছবি। প্রতিদিনের পারিশ্রমিকে কাজ করা মানুষগুলোর কথা শুনলেই আহা রে! বলে আমাদের মুখে আশঙ্কার কালো মেঘ ঘনিয়ে আসছে কিন্তু বাড়ির খাবারের মেনু কিংবা সোশাল মিডিয়ার ছবি সম্পূর্ণ উল্টো কথা বলছে। এই অবস্থাতেও মানুষ সত্যিই বোধহয় বদলালো না।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন