শাসকদলের সাংসদ তিনি। রাজনীতিতে রয়েছেন বিগত কয়েক বছর ধরে। তবে সিনেমা তার কাছে আগে, সাফ জানিয়ে দিলেন দেব।
নন্দনে শো পায়নি 'প্রজাপতি'। যা নিয়ে জোর বিতর্কের সৃষ্টি হয়। আর এসবের মাঝেই সোজাসাপটা কথা বললেন সাংসদ-অভিনেতা। সিনেমার জন্য দর্শকদের ভালবাসাতেই আজ তিনি সুপারস্টার দেব। তাই রাজনীতিক সত্ত্বার থেকে তার কাছে অভিনেতা সত্ত্বাই প্রাধান্য পেয়ে এসেছে বরাবর। এবারও এক সাক্ষাৎকারে দেব সাফ জানিয়ে দিলেন যে, তিনি শিল্পীসত্ত্বাকেই এগিয়ে রাখবেন।
নন্দনে স্লট না পাওয়া নিয়ে দিন দুয়েক আগেই দেব ব্যঙ্গ করে এক পোস্ট করেছিলেন। লেখেন- “এবার তোমাকে মিস করব নন্দন। কোনও ব্য়াপার না। আমাদের আবার দেখা হবে। গল্প শেষ।” সেই লেখায় এক ক্যাপশনও জুড়েছেন দেব। লিখেছেন, “শুধুমাত্র লেজেন্ডরাই এর অর্থ বুঝতে পারবেন। যিনি কিনা শাসকদলের সাংসদ, তাঁরই সিনেমা ঠাঁই পেল না সরকারি হলে, এই নিয়ে বেজায় সমালোচনা হয়েছে।
এপ্রসঙ্গে দেবের মন্তব্য, "আমার কোনও দুঃখ হয়নি। নন্দনে শো পাওয়া, না পাওয়া আলাদা ব্য়াপার। তবে নন্দনে যে টাকায় সিনেমা দেখানো হয়, সেখানে যা পরিবেশ, তাতে মধ্যবিত্তের পকেটে টান পড়ে না। কী হয়নি বা কী হতে পারত, সেসবে বিশ্বাসী নই। কী হতে পারে, আমি সবসময়ে সেদিকটা দেখি।"
<আরও পড়ুন: ‘বিকিনি নয়, রংই আসল সমস্যা…’, দীপিকার ‘বেশরম রং’ বিতর্কে চরম বিরক্ত আশা পারেখ>
উল্লেখ্য, 'প্রজাপতি' ছবিতে দেবের পাশাপাশি গেরুয়া শিবিরের তারকা সদস্য মিঠুন চক্রবর্তী থাকায়, অনেকেই অভিযোগ করেছেন যে সেই জন্যই এই সিনেমা হল পায়নি। নেটপাড়ার একাংশের মত, মিঠুন বিজেপি করেন বলেই কি নন্দনে ব্রাত্য এই ছবি? সেই উত্তর যদিও মেলেনি। তবে সিনেমার সেটে কিন্তু রাজনৈতিক রং ভুলেই দেব-মিঠুন একসঙ্গে কাজ করেছেন। এমনকী, দেবের বাড়িতে গিয়ে তাঁর মা-বাবার সঙ্গে দেখাও করে এসেছেন মিঠুন।
এবারও সোজাসাপটা ভাষায় সাংসদ-অভিনেতা জানিয়ে দিলেন যে, "আমার কাছে ভবিষ্যতে যদি কোনও চিত্রনাট্য আসে, যেখানে মিঠুন চক্রবর্তীকে দরকার, আমি আবারও ওঁর সঙ্গে কাজ করব। আমার কাছে গোড়া থেকে শেষ অবধি সবটাই সিনেমাা। কোনওদিন সিনেমার কাজে রাজনীতি ঢোকাইনি, রাজনীতির মধ্যেও সিনেমা ঢোকাইনি। কেউ বলতে পারবেন না যে, আমি রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে কাজ বের করার চেষ্টা করেছি। যে কোনও শিল্পী অভিনেতাকে দরকার হলে তাঁর সঙ্গে কাজ করার আপ্রাণ চেষ্টা করব।"