অষ্টাদশ শতকের এই নবাব হারিয়ে যান রাজনীতি, ষড়যন্ত্র ও বিশ্বাসঘাতকতার বেড়াজালে। বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজউদ্দৌলা। ঘসেটি বেগমের ক্ষুরধার ষড়যন্ত্রের আঁচ পেলেও তার মোকাবিলা করতে পারেননি সিরাজ। মিরজাফরের মসনদে বসাও ঠেকানো যায়নি। কিন্তু কেন বিশ্বাসঘাতক তকমা পেতে হল মিরজাফর আলি খাঁকে? যুগের পর যুগ রাজত্বে আপনজনেরাই তো গদির লড়াইয়ে আপনজনেদের বিরুদ্ধে নেমেছেন। আলীবর্দী খাঁও একই কাজ করেছিলেন। ভারতের ইতিহাসে ঘটনাবলিও তাই বলে। অথচ তারা তো বিশ্বাসঘাতক নয়!
এবার এই প্রশ্নগুলোই পর্দায় তুলবেন বাদশা মৈত্র। আমি সিরাজের বেগম-টেলি সিরিয়ালে তিনি মিরজাফরের চরিত্রে। ঘটনাচক্রে তিনিও মুর্শিদাবাদের মানুষ। বাদশা মৈত্রর কথায়, ''গল্পটা যখন তৈরি হচ্ছিল তখন থেকেই এই চরিত্রটা আমি করব জানতে পেরে নিজেই উৎসাহী ছিলাম। আমি আসলে এই চরিত্রে অভিনয় করাটা এনজয় করছি। অভিনেতা হিসেবে তো একটা ক্ষিদে থাকে সেটা এই চরিত্রটা খানিকটা পূরণ করেছে। মিরজাফরের সঙ্গে আমার ব্যক্তিত্বের কোন সাদুর্য্য নেই। আর নেই বলেই আমাকে তার মাথায় ভিতরটা কী ছিল সেটা খোঁজাটাই চ্যালেঞ্জ''।
আজকাল পিরিয়ড ড্রামা নিয়ে কাজ করছে টলিউড।
আরও পড়ুন, একটা বিবৃতি, দুই প্রজন্মের সাংবাদিককে কোন পথে নিয়ে যাবে?
তিনি আরও বলেন, ''গদির জন্য ভাই ভাইকে খুন করছে এটা তো স্বাভাবিক ঘটনা। তবে মিরজাফরের ক্ষেত্রে আলাদা তো দুটো জায়গায়, ব্রিটিশরা বাংলা দখল করতে পেরেছিল আর সিরাজের বয়স কম ছিল। এটা না হলে মিরজাফরের গদি বদও একটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা হয়ে থেকে যেত''। প্রসঙ্গত, সিরাজদ্দৌলা এমন একটা চরিত্র যাকে নিয়ে নানা কল্পকাহিনি রয়েছে। তবে এই ধারাবাহিক তৈরি হয়েছে ইতিহাস মেনে। শ্রী পারাবতের বই আমি সিরাজের বেগম অবলম্বনেই মূলত তৈরি হয়েছে এই টেলিভিশন শো। সিরাজের রাজত্বকালের অনেকটাই দেখানো হবে এখানে। আর আজকাল পিরিয়ড ড্রামা নিয়ে কাজ করছে টলিউড।