এক জীবনে কতকিছুই না ঘটতে থাকে। হিরো হোক অথবা কোনও চরিত্র অভিনেতা, শুরুর দিনে সবার হল একরকম থাকে না। অমিতাভের পক্ষেও সেসব দিন একেবারেই সহজ ছিল না। নাম জড়িয়েছিল বোফোর্স কাণ্ডে। সেদিনের সেকথাই মনে করেছিলেন অভিনেতা অঞ্জন শ্রীবাস্তব।
অমিতাভকে নিয়ে তখন চূড়ান্ত চর্চা। কলকাতায় আগুন জ্বলছে অভিনেতার বিরুদ্ধে। তাঁর পূত্তুলিকা পোড়ানো হচ্ছে। পোষ্টার ছিঁড়ে ফেলার ধুম। তাঁর মাঝেই অমিতাভের সঙ্গে এক নিদারুণ কথোপকথন শেয়ার করেছেন তিনি। অমিতাভ তখন তুফানের শুটিংয়ে ব্যস্ত। অঞ্জন বলেন, "আমি গিয়েছিলাম সেসময় একদিন শুটিং ফ্লোরে। জিজ্ঞেস করি, কেমন আছেন? তিনি উত্তর দেন, আমি ভাল আছি, ব্যাস এটুকুই।" সেই অভিনেতার কথায়, এটুকু পরিষ্কার যে বেশ চিন্তায় ছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন < ‘আমাকে গালাগাল দিন…!’ বিদেশে চরম অপমানিত বাঙালি শিল্পীরা, গর্জে উঠলেন লোপামুদ্রা >
হতাশায় ছিলেন অমিতাভ। এলাহাবাদের নানা সাহিত্যিক লেখকরা তাঁকে নিয়ে ভুলভাল, খারাপ মন্তব্য করতে শুরু করেন। চারপাশের পরিস্থিতি এতই ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে যে অমিতাভের জীবনে অবসাদ এবং হতাশা ছাড়া আর কিছুই ছিল না। অঞ্জন অভিনেতা ছাড়াও একজন ব্যাঙ্কার ছিলেন। এমনকি অমিতাভের 'abcl' এর অর্থায়নে জড়িত ছিল তাঁর ব্যাংক। ফলেই, অভিনেতা অঞ্জনকে দেখে একটু মুশকিলেই পড়েছিলেন। কী এমন করেছিলেন তিনি?
টাকা পরিশোধ করতে হবে, কিন্তু তখন সমস্যার শেষ ছিল না। অমিতাভ হাতজোড় করে উঠে দাঁড়ান। এবং মাথা নীচু করে অনুরোধ করেন, "আমি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সব টাকা দিয়ে দেব। আমায় একটু সময় দিন।" একথা শুনে নিজেও হতাশ হয়ে পড়েন অঞ্জন। অমিতাভকে বলেন, "আমরা এর জন্য আসিনি। জানি, আপনি দিয়ে দেবেন। হিসাবরক্ষকের তরফে একটু ভুল হয়ছে। আপনার উদ্দেশ্য সঠিক এটি জানি আমি। তবে, অমিতাভ পরিস্থিতি ঠিক হতেই, আর এক মিনিট দেরি করেননি অমিতাভ। আস্তে ধীরে সবটাকা ফেরত দিয়ে দেন তিনি।"