ম্যাডাম সেনগুপ্ত সিনেমায় অনন্যা সেনগুপ্ত যেভাবে নেগেটিভ চরিত্রটা ফুটিয়ে তুললেন, তাতে একটুও বোঝার উপায় নেই, যে এই প্রথম তিনি খলনায়িকা হিসেবে অভিনয় করলেন। বলা উচিত, ছবির অন্যতম লিডিং অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তকে তিনি বলে বলে গোল দিয়েছেন। এবং অনন্যা চট্টোপাধ্যায় পুতুল নাচের ইতিকথা ছবিতেও আছেন। সেখান থেকে ভাইরাল হয়েছে তাঁর লুক। কীভাবে কী প্রিপারেশন নিলেন তিনি? এক চোখ বন্ধ, সঙ্গে ওরকম কস্টিউম। অভিনেত্রীকে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলার তরফে ফোন করা হলে তিনি কী কী বললেন?
জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত মেকাপ আর্টিস্ট সোমনাথ কুন্ডু তাঁর এই লুক সেট করেছেন। গায়ে জলবসন্ত এর দাগ, সঙ্গে এক চোখ সমানে বন্ধ - অভিনেত্রী কীভাবে কি প্রিপারেশন নিলেন? সেই প্রসঙ্গে তিনি সোজা সাপটা বললেন, লুকের জন্য আমি কোনও প্রিপারেশন নিই নি। যা করার সোমনাথ করত। আমি শুধু বসে থাকতাম। কষ্ট হত। চোখে ব্যথা করত। একনাগাড়ে বসে থাকতাম। মাথা যন্ত্রণা করত। কিন্তু, এমনি বসেই থাকতাম। একচোখে দেখা, নেহাতই কষ্ট হত। বাকি আমি এমনিই বসে থাকতাম। অনন্যা চট্টোপাধ্যায়, সিনেমার সঙ্গে সঙ্গে টিভি ইন্ডাস্ট্রির বুকেও দারুণ কাজ করেছেন। সবথেকে বড় কথা, জয় কালী কলকাত্তাওয়ালি সিরিয়ালে গোয়েন্দা চরিত্রে তাক লাগিয়েছিলেন তিনি।
বাংলা সিরিয়ালে কি আবারও এই ধরণের কন্টেন্ট প্রয়োজন আছে? উত্তরে তিনি বললেন, "যেহেতু সাসপেন্স থ্রিলার সারাবিশ্বে সকলেই খুব পছন্দ করেন, মানুষ আজকাল এগুলো দেখেন, আমার মনে হয়, টেলিভিশনে যদি শুরু করা যায়, এমন কিছু অবশ্যই বদল আনার জন্য, তাহলে হয়তো ভাল হবে। গতানুগতিক ফ্যমিলি ড্রামার জায়গায় এখন অন্যকিছু দেখতে পাবে তাঁরা। তাঁর মানে এই না, যে সব সিরিয়াল গোয়েন্দা নিয়ে করুক, তাহলে সবটাই আবার এক হয়ে যাবে।"
কিছুদিন আগেই সব্যসাচী চক্রবর্তী জানিয়েছিলেন, যাঁরা হিট হতে চায়, তাঁরাই নাকি গোয়েন্দা গল্প বেছে নেয়? উত্তরে তিনি বললেন... "গোয়েন্দা গল্পের একটা নিজস্বতা আছে। নিজের একটা দর্শকও আছে। এর হিট হওয়ার চান্স থাকে। এত ইন্টারেস্টিং একটা বিষয়। এটা নিয়ে বেশি নাড়াচাড়া করতে হয় না, কিন্তু! দর্শক যারা রহস্য ভালবাসেন তাঁরা নিজে নিজেই আসল কে ক্রিমিনাল - তাঁকে খুঁজে বের করতে চেষ্টা করেন।"