দেশে আক্রোশ এ পরিমাণ তার হিংসাত্মক জিহ্বা প্রকাশ করছে যে সাধারণ মানুষ থেকে কবি-সাহিত্যিক কেউই চুপ করে বসে থাকতে পারছেন না। অন্ধাকারে জর্জরিত সমাজকে তাই আলোর দিশা দেখাতে বদ্ধপরিকর সমসাময়িক শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষেরা। তাই প্রিয় কবি শ্রীজাত বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রয়াস 'অন্ধকার শ্রীজাত'।
৫ জানুয়ারি নিউটাউন আর্টস একরের প্রেক্ষাগৃহে শ্রীজাত একক কবিতা পাঠের অনুষ্ঠান। আয়োজনে কৃতি'-র সদস্যরা। নিজের তথাকথিত অন্ধকার কবিতাসমূহ পাঠ করবেন কবি। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলার তরফে শ্রীজাতর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ''এই পরিস্থিতিতে আর কীই বা করতে পারি। আসলে কৃতি আমার কাছে প্রথম এই প্রস্তাব নিয়ে আসে। তারা চেয়েছিল এই সময়ে দাঁড়িয়ে কোনও প্রেমের কবিতা নয়, আমার কড়া, তেতো ও বাস্তব কবিতাগুলি মানুষকে শোনাতে। সেই কারণেই অনুষ্ঠানে নামটা আমার দেওয়া।''
আরও পড়ুন, ‘অসুর’-এর উপর ক্ষুব্ধ ‘সবচেয়ে বড় দুর্গা’র নির্মাতা মিন্টু পাল
শ্রীজাতর 'অন্ধকার লেখাগুচ্ছ', 'মুস্তাক হুসেনের দরবারি' এবং 'ধ্বংস'-নামক বইয়ে এই সময়ের দেশের বর্ণনা রয়েছে। এখান থেকেই কিছু কবিতা বেছে নিয়ে পাঠ করবেন কবি। তিনি আরও বলেন, ''এখনকার প্রেক্ষাপটে কেউ বা কারা লভ্যাংশের কথা বাদ দিয়ে এ ধরণের অনুষ্ঠানের প্রতি আগ্রহ দেখিয়েছে এটাই অনেক। আমি ওই বইগুলো থেকেই টানা লেখা পড়ে যাব। এটা ছাড়া তো আমার হাতে কোনও অস্ত্র নেই। আন্তরিকভাবে কৃতির কাছে কৃতজ্ঞ কারণ এই সুযোগটা কেউ করে দেয় না।
''আমাদের হরবখত অনুষ্ঠান করতেই হয়। সেখানে প্রেমের কবিতা পড়ার অনুরোধই আসে। কিন্তু শ্রোতারা মূল্য দিয়ে দেড়-দুঘন্টা এই অন্ধকারের মধ্যে থাকবেন এটা অনেক'', বললেন শ্রীজাত।