'দ্যা জেব্রাস'-র পর এবার 'অশ্ব', দর্শকের জন্য এবার ঘোড়া কেন্দ্রিক কোনও বিশেষ গল্প উপহার?
হ্যাঁ, একদমই তাই। 'অশ্ব' সিনেমাটি একটি ঘোড়াকে কেন্দ্র করেই। 'নর্স মাইথোলজি' থেকে 'অশ্ব'-র গল্প সংগৃহিত। ওখানে আটটি ঘোড়ার গল্প রয়েছে। সিনেমাতেও আটটি চরিত্রকে ঠিক ওইভাবেই সাজানো হয়েছে। একটি ঘোড়া ইউরোপ থেকে টাইম ট্রাভল করে ২০২৩ সালে পালিয়ে এসেছে। এখান থেকেই 'অশ্ব'-র গল্প শুরু। একটা ঘোড়ার দৃষ্টিকোণ থেকে শহর কলকাতা দেখার গল্পই হল 'অশ্ব'। একটি ঘোড়ার চোখে দর্শক যখন তিলোত্তমাকে আবিস্কার করবে একইসঙ্গে দেখবে পতিতাবৃত্তির এক অদ্ভুত যোগ। একটি মেয়ের মা গ্রাম থেকে পালিয়ে শহরে এসে পতিতালয়ের অন্ধকারে ডুবে যায়। দীর্ঘ ১৭ বছর পর ওকটি বাচ্চা মেয়েকে উদ্ধার করে একটি বাড়িতে নিয়ে আসার পর 'অশ্ব'-র গল্পে আসবে নতুন মোড়। ঘোড়ার চোখে কলকাতা ও তার চারপাশের মানুষজনকে দেখাতে গিয়ে এই সিনেমায় অনেকগুলো টার্নিং পয়েন্ট রয়েছে। একটি ঘোড়ায় চেপে মুন্ডহীন বর আসছে। ওই বাচ্চা মেয়েটি তখন একটি ঘরে বসে হারমোনিয়াম বাজাচ্ছে। এই দৃশ্যায়ন দেখে দর্শকের শরীরে ঠান্ডা স্রোত বয়ে যাবে। মৃতদেহটার প্রতি ওই বাড়ির মানুষগুলোর কী প্রতিক্রিয়া সেটাও এই সিনেমার অন্যতম আকর্ষণ। 'অশ্ব' অর্থাৎ ঘোড়া যখন নিজের পিঠে মুণ্ডহীন বরের দেহ নিয়ে আসে সেখান থেকেই ওই ঘরটাকে, শহর কলকাতাকে নিজের পয়েন্ট অফ ভিউ দিয়ে দেখা শুরু করে।
/indian-express-bangla/media/post_attachments/06976134-5da.jpg)
অশ্ব-তেও টলিপাড়া বা বাঙালি যোগ রয়েছে?
এই ছবিটি বাংলা, হিন্দি, ইংরাজি, সংস্কৃত সব ভাষার সংমিশ্রন। গোটা ভারতেই ছবিটি মুক্তি পাবে। স্টার কাস্টেও একটা বিরাট বাঙালি যোগ রয়েছে। সিংহভাগ অভিনেতা-অভিনেত্রীই বাঙালি। দ্যা জেব্রাস-এর ঊষা বন্দ্যোপাধ্যায়ও আমার সঙ্গে এখানে কাজ করেছে। অস্ট্রিয়ান একজন অভিনেত্রী আছেন। থিয়েটার জগতের সঙ্গে যুক্ত কিছু অভিনেতাও রয়েছেন। যৌনকর্মীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন বৃষ্টি গুহঠাকুরতা, বাস্তবে তিনি একজন মডেল।
/indian-express-bangla/media/post_attachments/5eab474f-22e.jpg)
প্রাণীদের নামে ছবির নামকরণের কোনও বিশেষ কারণ? লাকি চার্ম?
জেব্রা-ঘোড়া এই নামগুলোর সঙ্গে লাকি চার্মের কোনও ব্যাপার নেই। আসলে ঘোড়া বিষয়টা আমাকে খুব অনুপ্রাণিত করে। নর্স মাইথোলজিতে ঘোড়ার একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে। রামায়ন, মহাভারত নিয়ে তো অনেক সিনেমা তৈরি হয়। সেই রকমই আমি ভাবলাম ইউরোপের নর্স মাইথোলজিকে নিয়েও ভারতীয় সিনেমা তৈরি করি। 'অশ্ব' সেই ভাবনারই ফল।
/indian-express-bangla/media/post_attachments/1f45f02b-485.jpg)
'দ্যা জেব্রাস' অস্কারে মনোনয়ন পেয়েছিল, 'অশ্ব' থেকে আরও বেশি প্রত্যাশা?
এই ছবিটিকে প্রথমে ফেস্টিভ্যালগুলোতে পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে। পরের বছর মুক্তির দিন নিয়ে ভাবনাচিন্তা করব। এই ছবিটা নিয়ে আমি খুব আশাবাদী। দ্যা জেব্রাস অস্কারে মনোনয়ন পেয়েছে। কিন্তু, এই সিনেমার শুটিংয়ের পর আমার মনে হয়েছে এটা দ্যা জেব্রাসের থেকে অনেক ভাল। 'অশ্ব' নিয়ে আমি একশো শতাংশ সন্তুষ্ট। ক্যামেরায় যেহেতু আমি ছিলাম তাই যেটা নিজে ভিজ্যুয়ালাইজ করেছিলাম সেটাই পরিবেশন করতে পেরেছি।