Anirban Bhattacharya vs Federation-Tollywood: অনির্বাণ ভট্টাচার্যর জীবনে সিঁদুরে মেঘ। কারণ, তাঁর ওপর থেকে যেন চাপ সরছেই না। দিনের পর দিন বাধাপ্রাপ্ত টলিপাড়ার অন্যতম পরিচালক এবং অভিনেতা। অনির্বাণ কাজ করতে চেয়েও পারছেন না। আজ তাঁর ফের একবার শুটিং বন্ধ হয়েছে। তাঁকে কাজ করতে দেওয়া হয়নি। জানা যাচ্ছে, গতকাল রাত থেকেই টেকনিশিয়ানরা জানিয়েছেন, যে তারা আসতে পারবেন না। ফলে, ফের একবার নতুন গানের শুটিং শুরু হল না।
শেষ বছর থেকেই ফেডারেশন বনাম গিল্ড নিয়ে নানা উত্তেজনা। কারণ, পরিচালকরা টেকনিশিয়ান এবং ফেডারেশনের নামে নানা অভিযোগ করেছেন। এবং একসময় সকল পরিচালক একজোট হয়ে লড়াই করলেও, এখন পরমব্রত থেকে অনির্বাণ এবং বেশ কিছু পরিচালক আলাদা হয়ে গিয়েছেন। নতুন একটি গানের দল তৈরি করেছেন পরিচালক অনির্বাণ। আজও তাঁদের কাছে ১৬-১৮ টি গান বহাল আছে। অনির্বাণ অভিযোগ করেছিলেন, গতকাল রাত থেকেই টেকনিশিয়ানরা ফোন করে জানাতে থাকেন, তাঁরা নাকি আসতে পারবেন না। কেউ কেউ তো ফোন তোলেননি পর্যন্ত। এবং রীতিমতো অনির্বাণকে কাজে অসহযোগিতা করছেন তাঁরা এমনটাই শোনা যাচ্ছে।
অনির্বাণ সাফ সংবাদমাধ্যমে জানান, আজ হয়নি, কাল হয়নি - কিন্তু আমি এমন মানুষ না যে হাল ছেড়ে দিয়ে আফশোস করতে করতে কান্নাকাটি করব। আমি আবারও চেষ্টা করব। চেষ্টা করব, যাতে এই বিষয়টা এক্সিকিউট করতে পারি। সুতরাং দেখা যাবে। গোটা বিষয়টাই তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে আদালতে জানাবেন এবং কিভাবে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবেন সেটাও জানাবেন বলেই দাবি করেছেন তিনি। অনির্বাণ অভিনয় করছেন রঘু ডাকাত ছবিতে। এছাড়াও, তাঁর বেশ কিছু পরিচালনার কাজ পর্যন্ত রয়েছে। কিন্তু, কবে সেগুলো হবে, এই নিয়েই এখন অনির্বাণের কপালে চিন্তার ভাঁজ।
অনির্বাণ সাফ সংবাদমাধ্যমে জানান, আজ হয়নি, কাল হয়নি - কিন্তু আমি এমন মানুষ না যে হাল ছেড়ে দিয়ে আফশোস করতে করতে কান্নাকাটি করব। আমি আবারও চেষ্টা করব। চেষ্টা করব, যাতে এই বিষয়টা এক্সিকিউট করতে পারি। সুতরাং দেখা যাবে। গোটা বিষয়টাই তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে আদালতে জানাবেন এবং কিভাবে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবেন সেটাও জানাবেন বলেই দাবি করেছেন তিনি। অনির্বাণ অভিনয় করছেন রঘু ডাকাত ছবিতে। এছাড়াও, তাঁর বেশ কিছু পরিচালনার কাজ পর্যন্ত রয়েছে। কিন্তু, কবে সেগুলো হবে, এই নিয়েই এখন অনির্বাণের কপালে চিন্তার ভাঁজ।
শুধু তাই নয়, তাঁকে যখন প্রশ্ন করা হয়, বাংলায় কাজ করতে বাঁধা পাচ্ছেন, তাহলে অন্য রাজ্যে যাবেন কিনা? উত্তরে, তিনি সাফ বলেন, "এসব আমি করছি না। বাংলা আমার ভাষা। এই ইন্ডাস্ট্রি থেকে আমি অনেককিছু শিখেছি। আমি অন্য রাজ্যে কেন যাব? আজ যেটুকু জানি, সবটাই এই বাংলার জন্য। অন্য কোথাও যাওয়ার প্রশ্নই ওঠে না।" কিন্তু, এই একটা বছরে অনির্বাণ এবং পরমব্রতর হাত ছেড়েছেন অনেক পরিচালক। সেই দলে, একসময় সৃজিত মুখোপাধ্যায়, কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় থেকে শিবু নন্দিতা - অনেকেই ছিলেন। কিন্তু, সকলেই নিজের সুবিধা মতো বুঝে নিয়েছেন, এবং একটু খেয়াল করলে দেখা যাবে, তাঁদের কাজ করতে একেবারেই অসুবিধা হচ্ছে না।