বড়পর্দায় এবার ডা. বিধানচন্দ্র রায়ের (Bidhan Chandra Roy) জীবনকাহিনী। বৃহস্পতিবার সকালেই টলিপাড়াজুড়ে জোর গুঞ্জন যে প্রযোজনা সংস্থা এসভিএফ (SVF)-এর তরফে এই কিংবদন্তী চিকিৎসক তথা পশ্চিমবঙ্গের দ্বিতীয় মুখ্যমন্ত্রীর বায়োপিক তৈরির তোরজোর চলছে। তার মাঝেই ছক্কা হাঁকালেন আরেক প্রযোজক রানা সরকার (Rana Sarkar)। সাফ জানিয়ে দিলেন যে, তিনিই প্রথম বিধানচন্দ্রের বায়োপিক তৈরির পরিকল্পনা করেছিলেন। স্বাভাবিকভাবেই টলিউডে এই জোড়া খবর একেবারে শোরগোল ফেলে দিয়েছে। এখন প্রশ্ন, ডা. বিধানচন্দ্র রায়ের জীবনকাহিনী অবলম্বনে সিনেমার স্রষ্টা তাহলে কে?
এসভিএফের তরফে যদিও এখনও এই সিনেমা নিয়ে আনুষ্ঠানিক কোনওরকম তথ্য দেওয়া হয়নি। তবে কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে, প্রি-প্রোডাকশনের কাজ চলছে। এদিকে চলতি বছরেরই জুলাই মাসে বিধানচন্দ্র রায়ের জন্মদিনের পরের দিন রানা সরকার ফেসবুকে আক্ষেপ করে জানিয়েছিলেন, কেই এই মানুষটার বায়োপিকের কথা ভাবে না। তবে আমি ভাবছি। বৃহস্পতিবার এসভিএফের তরফে বিধানচন্দ্র রায়ের জীবনী পর্দায় নিয়ে আসার খবর শুনে স্বাভাবিকভাবেই চুপ থাকেননি রানা সরকার।
তবে দুই সিনেমার গল্পের ধরণ আলাদা। এসভিএফের তরফে তুলে ধরা হবে বিধানচন্দ্র রায় ও নীলরতন সরকারের কন্যা কল্যাণীর প্রেমকাহিনি। সঙ্গে সমসাময়িক রাজনৈতিক, সামাজিক অবস্থান। কল্যাণী উপনগরী গড়ে ওঠার ইতিহাসও তাঁদের চিত্রনাট্যে জায়গা পেয়েছে। যদিও কাকে দেখা যাবে নামভূমিকায়? তা খোলসা করা হয়নি এখনও পর্যন্ত। তবে এই প্রেক্ষিতেই আবার ছক্কা হাঁকিয়েছেন আরেক প্রযোজক রানা সরকার। তিনি ডা. বিধানচন্দ্র রায়ের বায়োপিকের ঘোষণা করেই শুধু ক্ষান্ত থাকেননি। পাশাপাশি কাস্টিংও জানিয়েছেন।
<আরও পড়ুন: ‘আমি ডেলিভারি পাইনি মা…’, নয়া বিজ্ঞাপনে বিতর্ক উস্কে নিজেকেই ট্রোল করলেন প্রসেনজিৎ, দেখুন>
রানা সরকার প্রযোজিত ছবিতে ডা. বিধানচন্দ্র রায়ের ভূমিকায় দেখা যাবে অভিনেতা অনির্বাণ ভট্টচার্যকে (Anirban Bhattacharya)। অন্যদিকে, প্রেমিকা কল্যাণীর ভূমিকায় থাকবেন প্রিয়াঙ্কা সরকার (Priyanka Sarkar)। আর সেই ছবির পরিচালনা করবেন সৃজিত মুখোপাধ্যায় (Srijit Mukherji)। জানালেন প্রযোজক খোদ। রানা অবশ্য এও বললেন যে, 'লহ গৌরাঙ্গ' শুট শেষ হলেই এই নয়া প্রজেক্টে হাত দেওয়া হবে। অপেক্ষায় রয়েছেন সৃজিত তাঁর ব্যস্ত শিডিউল থেকে কবে সময় বের করবেন। এদিকে দুর্ঘটনার পর অস্ত্রোপচার হওয়ায় প্রিয়াঙ্কারও সেরে উঠতে সময় লাগবে। সবদিক বিবেচনা করে, এই ছবির শুট শুরু হতে এখনও অনেকটা সময় দরকার। যদিও এপ্রসঙ্গে সৃজিত বা অনির্বাণের কেউই মুখ খোলেননি এখনও। প্রযোজকই জানিয়েছেন বিশদে।
তাহলে কি দুই এসভিএফ-এর সঙ্গে রানা সরকারের দ্বন্দ্ব বিধানচন্দ্র রায়ের বায়োপিক নিয়ে? এপ্রসঙ্গে প্রযোজক রানার সাফ কথা, "শ্রীকান্তদা ও মণিদা আমাদের বন্ধু, তাই এই প্রজেক্ট নিয়ে SVF-এর সাথে কোনো দ্বন্দ নেই। বরং একটা প্রতিযোগিতা থাকুক কে কতটা বেশি মানুষের কাছে পৌঁছতে পারে।"
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন