New Update
/indian-express-bangla/media/media_files/2025/01/10/nc7Ig3oYKoGS7YVgvcsN.jpg)
'রাজুদার পকেট পরোটা' খেতে গিয়ে একেন বাবু যা কাণ্ড ঘটালেন...
Anirban And Raju Dar Porota: রাজুদার পকেট পরোটা চেখে দেখলেন একেন বাবু অনির্বাণ। ভিডিও সামনে আসতেই ঝড়ের গতিতে ভাইরাল।
'রাজুদার পকেট পরোটা' খেতে গিয়ে একেন বাবু যা কাণ্ড ঘটালেন...
Puro Puri Eken Promo: রাজুদার বিখ্যাত পকেট পরোটা এবার মুঠোফোনে। শুনতে অবাক লাগলেও এটাই কিন্তু, বাস্তব। অনেকদিন ধরেই শোনা যাচ্ছিল, অনির্বাণ চক্রবর্তীর সঙ্গে হইচইয়ের সিরিজে কাজ করছেন রাজুদা। কিন্তু, কোন চরিত্রে তাঁকে দেখা যাবে সেটা নিয়ে রহস্য ক্রমশ ঘণীভূত হচ্ছিল। অবশেষে সেই রহস্য থেকে চাদর সরল। সামনে এল পুরোপুরি একেনের প্রোমো।
যেখানে সেই চেনা ছন্দে ৩০ টাকায় তিনটে পরোটা আর আনলিমিটেড তরকারি বিক্রি করতে দেখা যাচ্ছে রাজুদাকে। তাঁর থেকে পকেট পরোটা খেয়ে তো হাত চাটছেন খোদ 'একেন বাবু' অনির্বাণ। প্রোমোতে রাজুদার লুক দেখে তো তাজ্জব দর্শক। যেখানে একেন বাবু রয়েছেন সেখানে হাসির রসদ থাকবে না তাই আবার হয় নাকি! দোসর রাজুদা। প্রোমোর শুরুতেই লেখা এক প্লেটে তিনটে পরোটা।
তারপরই চোখ থেকে সানগ্লাসটা নামিয়ে রাজুদা বলছেন তিনটে পরোটা, আনলিমিটেড তরকারি, একটা আপেল পেঁয়াজ, একটা কাঁচা লঙ্কা, একটা সিদ্ধ ডিম দিয়ে মাত্র ৩০ টাকা। রাজুদার দোকানে যখন উপচে পড়া ভিড়, তখন খাস কলকাতায় কচুরির দোকানই খুঁজে পাচ্ছেন না একেন বাবু। অথচ সকালে উঠে তাঁর মন চাইছে 'মদনের মোহন', 'গজা', 'খাজা', 'ছানা পোড়া'। একদিকে খিদেয় পেট চু চু করছে আর ঠিক সেই সময়ই বাজছে ফোনের ঘন্টা। ফোন তুলেই একেনের মজার বুলি, 'বলুন্তি'।
কলকাতায় মনপসন্দ খাওয়ার না পেয়ে একেন বাবু রাগ করে বলছেন এটা 'রুপোর বাংলা'? সঙ্গে সঙ্গে ভুল শুধরে ফোনের ওপারে থাকা ব্যক্তি বলেন, 'এটা সোনার বাংলা'। তারপর উনি রাজুদার পকেট পরোটার খোঁজ দেন। আনলিমিডেট তরকারি শুনেই সঙ্গে সঙ্গে নির্দিষ্ট ঠিকানায় পৌঁছে যান একেন বাবু। তাঁকে দেখে তো চমকে গেলেন খোদ রাজুদা। আর একেন বাবু তাঁকে কী বলে ডাকলেন জানেন? 'পকেটদার রাজু পরোটা'।
প্রোমো জুড়ে একেন বাবুর হাস্যকর সংলাপ শুনে হাসতে হাসতে দর্শকের পেটে খিল ধরে যাবে সে কথা বলার অবকাশই রাখছে না। পুরীতে গিয়ে যে বাঙালিয়ানা পুরোপুরি ছাড়তে পারেননি একেন বাবু সেই গল্পও করেন রাজুদার সঙ্গে। তাঁর পালটা প্রশ্ন, 'পুরীতে গিয়ে স্নান করেছেন'? একেন বাবু হেসে বলেন, জলে নাকি তাঁর ফাঁড়া আছে। এরপর একেন বাবুর হটকে প্রশ্ন, সমুদ্রের পাড়ে কোনটা ইন্টারন্যাশনাল? প্রশ্ন শুনেই তো থ রাজুদা। ওদিকে পরোটা খেতে খেতে একেন বাবু বলেন, 'বালি'। তারপরই হো হো করে হেসে ওঠেন একেন।
প্রোমোর প্রায় শেষ পর্যায়ে একেন বাবু যখন রাজুদাকে বলছেন, 'সমুদ্রের জল কহে ছাড়িয়া নিঃশ্বাস, ওপারে তে সর্বসুখ আমার বিশ্বাস' । রাজুদা তখন আবার জিজ্ঞাসা করেন, এটা নদী হবে না? প্রোমোর শুরু থেকে শেষ রাজুদা- আর একেন বাবুর কথোপকথন শুনে হাসি বন্ধ হওয়ার উপায় নেই। কথায় আছে না ওস্তাদের মার শেষে রাতে, পুরোপুরি একেনের প্রোমোর শেষটাও অনেকটা সেইরকম।
রাজুদাকে পকেটদা, নদীর জলকে সমুদ্রের জল এগুলো তো একেন বাবু নির্ধিয়ায় বলে গিয়েছেন। যখন রাজুদার দোকানে দাঁড়িয়ে স্ত্রীকে মিথ্যা বললেন যে তিনি বাড়ি এসে পেটপুড়ে খাবেন তখনই খুকু বউদি (একেনের স্ত্রী)-কে ফোনে সত্যিটা বলে দিলেন। এরপর কী হবে তার জন্য তো ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত একটু ধার্য ধরতেই হবে।