পরিচালক অনুরাগ বসু বিশ্বাস করেন, একবার কোভিন ১৯-এর প্রভাব শেষ হলে বিনোদন জগতকে করোনা পূর্ববর্তী ও করোনা পরবর্তী দশকে ভাগ করা যাবে।
এদিন পরিচালক বললেন, গল্প বলা এবং বিনোদন বিন্যাসের দিক থেকে সম্পূর্ণভাবে বদলে যাবে সিনেমা। এই মাসের মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল অনুরাগ বসুর ছবি লুডো। কিন্তু করোনার জেরে তা পিছিয়ে যায়।
সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে অনুরাগ বলেন, ''সিনেমা ও বিনোদন জগতকে করোনা পূর্ববর্তী ও করোনা পরবর্তী দশকে আলাদা করা যাবে। গল্প বলার ধরন বদলে যাবে এবং কিছু মানুষ থাকবেন যারা ওটিটি প্ল্যাটফর্মে দেখতে অভ্যস্থ হয়ে পড়বেন, সুতরাং সামনের সারিতে অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলি নিজের জায়গা করে নিতে পারে। আমার মনে হয় বিশ্বের পরবর্তী সংকট না দেখা পর্যন্ত করোনাভাইরাস অনেক সিনেমার পটভূমি তৈরি করবে।''
পরিচালক মনে করেন লকডাউনের পর অনেক মানুষ পুরোপুরি ভিন্ন ব্যক্তিত্বের হয়ে যাবেন ও এটাই তাদের বিষয় পছন্দের উপর প্রভাব ফেলবে।
তিনি আরও বলেন, ''কিছু লোকের জন্য, জীবন সম্পর্কে দৃষ্টিভঙ্গি বদলে যাবে। তাদের পছন্দ-অপছন্দের উপর প্রভাব ফেলবে এবং কী ধরণের জিনিস তারা দেখতে চায় এবং দেখতে চায় না তার উপর প্রভাব পড়বে। মানুষ অর্থহীন কিছু দেখতে চাইবে না ফলে মানুষকে অর্থপূর্ণ জিনিস তৈরি করতে চাপ দেবে। এটা কেবল অনুমান। আর এটাই আমরা এখন করতে পারি? আমি কেবল দর্শকের পছন্দটি অনুমান করছি।''
আরও পড়ুন, ‘বেরিও না’ করোনা সতর্কতায় লক্ষ্মীছাড়া’র নতুন গান
মানুষ লকডাউনের পর আবার সিনেমাহলে ফেরত্ আসবেন কিনা তা নিয়েও সন্দীহান পরিচালক। তিনি আশাবাদী যে বলিউডের প্রযোজকরা একসঙ্গে সিনেমা রিলিজের একটি ক্যালেন্ডার বের করবেন যা দর্শকদের সিনেমা হলে আসতে প্ররোচিত করবে।
সৃজনশীল এবং ব্যবসায় উভয় দিক থেকেই অনুরাগের মত, অন্য যে কোনও সেক্টরের মতো, ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিও লকডাউনের কারণে লোকসানের মুখোমুখি হবে, তবে প্রতিদিনের পারিশ্রমিকে কাজ করা মানুষগুলোকে নিয়ে বেশি উদ্বিগ্ন তিনি।
দৈনিক পারিশ্রমিকে কাজ করা শ্রমিকদের কথা ভেবে ভেঙে পড়ছেন পরিচালক, যারা যে কোনও ফিল্ম ইউনিটে ৭৫ শতাংশ কাজ করে দেয়, যেহেতু সমস্তটাই থমকে রয়েছে তাই তাদের উপর আঘাত আসবে বেশি।
২৪ এপ্রিল মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল তাঁর পরের ছবি লুডো, কিন্তু পরবর্তী রিলিজ ডেট নিজে ধন্ধে পরিচালক।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন