‘চাকদা এক্সপ্রেস’-এর জন্য ময়দানে রীতিমতো ঘণ্টার পর ঘণ্টা ঘাম ঝরিয়েছেন। ৬৫ দিন ধরে সাতটি শিডিউলে শুটিং হয়েছে দেশের মোট ছয়টি বিভিন্ন শহরে। ঝুলন গোস্বামীর জুতোতে পা গলাতে কোনওরকম কসরত ছাড়েননি অনুষ্কা শর্মা। অতঃপর শুটিং শেষ হতেই যেন হাফ ছেড়ে বাঁচলেন অভিনেত্রী।
শুটের শেষ দিনে ভ্যানিটি ভ্যানে প্রায় নাক ডেকে ঘুমোচ্ছিলেন অনুষ্কা। আর তাঁকে জাগাতে পাশে বসে নাকাল রিয়েল লাইফ ঝুলন গোস্বামী! অভিনেত্রীর শেয়ার করা ছবিতেই দেখা গেল সেই দৃশ্য। শুটের শেষদিনের বিভিন্ন আনন্দঘন মুহূর্ত ভাগ করে নিয়েছেন বিরাট-ঘরনি।
গোটা টিমের সঙ্গে কেক কাটতে দেখা গেল অনুষ্কাকে। পরনে টিম ইন্ডিয়ার ঝুলন গোস্বামীর নীল জার্সি। বায়োপিকে ঝুলনের লুকেই কেক কাটলেন অভিনেত্রী। তার সঙ্গে আনন্দঘন মুহূর্ত ভাগ করে নিলেন পরিচালকও। গোটা ‘চাকদা এক্সপ্রেস’ টিম উচ্ছ্বসিত। ঝুলনকে শেষ দৃশ্যের শুটে ক্ল্যাপিং করতেও দেখা গেল। যার জন্য অভিনেত্রী ধন্যবাদ জানাতে ভুললেন না ভারতের মহিলা ক্রিকেট টিমের প্রাক্তন অধিনায়ককে। শুটের শেষদিন উদযাপনের একাধিক ছবি শেয়ার করে লিখলেন, চাকদা এক্সপ্রেস-এর শুট শেষ। শেষ দিনের শুটিংয়ে ঝুলন গোস্বামী থাকার জন্য অনেক ধন্যবাদ। খুব শিগগিরিই এই সিনেমা নেটফ্লিক্সে মুক্তি পাবে বলেও জানালেন অনুষ্কা শর্মা।
<আরও পড়ুন: আলিয়াকে জাপটে ধরে চুমু রণবীরের, কাপুরদের ইয়াব্বড় সার্টিফিকেট নায়িকার>
প্রসঙ্গত, ভারতীয় ক্রিকেট দুনিয়ার একদা ফার্স্টলেডি অনুষ্কা। আর বাংলার গর্ব ঝুলন গোস্বামীর বায়োপিক ‘চাকদা এক্সপ্রেস’-এ অনুষ্কা শর্মাই সেই ভূমিকায়। কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে শুটিংও করে গিয়েছেন। শুধু তাই নয়, শহরের বিভিন্ন লোকেশনে শুট হয়েছে। এমনকী কলকাতায় এসে ঝালমুড়ি আর মশলা পেয়ারাও খেয়েছেন অভিনেত্রী।
সংশ্লিষ্ট স্পোর্টস ড্রামার জন্য একেবারে আদা-জল খেয়ে ময়দানে নেমে পড়েছিলেন বিরাট-ঘরণি। ঝুলনের ব্যাট-বলের মারপ্যাঁচ শিখতে কড়া হোমওয়ার্ক করেছেন। সংসার, মেয়ে সামলানোর পাশাপাশি ময়দানের নেট প্র্যাকটিসে রোজ ঘাম ঝরিয়েছেন। কড়া গরমে শরীর ফিট রাখতে ঝুলনের মতোই পান্তা ভাত খেয়েছেন দু বেলা। পর্দায় পুরোদস্তুর ঝুলন গোস্বামী হয়ে উঠতে যে কোনওরকম কসরত-ই বাদ রাখেননি।