Aparajita Adhya Post: বছরের শেষ দিনটা সকলের কাছেই যেন ভীষণ আবেগপ্রবণ। সারা বছরের হাসি-কান্না, আনন্দ-নিরানন্দ নিয়েই কেটে যায় পুরো বছর। তাই শেষ দিনটায় সেগুলো যেন বড্ড বেশি মনে পড়ে যায়। এই দিনটাতে কাছের মানুষদের সঙ্গে সময় কাটাতে ভালবাসেন অনেকে। কেউ আবার পার্টি মুডে থাকরতেই পছন্দ করেন। বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির অপা দি ওরফে অপরাজিতা আঢ্য বর্ষশেষের দিন মন ছুঁয়ে যাওয়া ভিডিও-ছবি শেয়ার করেছেন। পরিবারের মানুষদের সঙ্গেই সময় কাটিয়েছেন অপরাজিতা আঢ্য।
বাপের বাড়ির সদস্যদের সঙ্গে হইহই করে কাটালেন অভিনেত্রী। আর বাড়ি ফেরার সময় পুরো মাসের জিনিস ব্যাগ বোঝাই করে ফিরলেন। বছরের শেষ দিন বাপের বাড়ির মানুষদের থেকে যখন এত ভালবাসা পাওয়া যায় তখন তার থেকে বেশি আনন্দ আর কিছু হতে পারে? নিশ্চয়ই না, অপরাজিতার ক্ষেত্রেও ঠিক তাই হয়েছে। ভিডিও পোস্ট করে সেই আনন্দ জাহির করেছেন ছোট পর্দার লক্ষ্মী কাকিমা।
সকলের সঙ্গে হাসি মুখে ছবিও তুলেছেন। সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে অপরাজিতা আঢ্য লেখেন, 'আমার বাপের বাড়ি /৫ নম্বর স্বপ্নময় লেন। বাপের বাড়ি থেকে পাওয়া জিনিসটা যে কোনও মেয়ের কাছে সব থেকে মূল্যবান। সে যাই হোক না কেন, নিজে যাই করি যত উন্নতি করি ,যত রোজগার করি, বাপের বাড়ি বাপের বাড়িই। সেখান থেকে কিছু পাওয়াটা সবসময় খুব অহংকারের'।
বউদির প্রশংসা করে অভিনেত্রী যোগ করেন, 'আমার রানি দিদি আমাদের পরিবারের রানি। আমার বৌদি যখনই যাব তখনই ব্যাগ ভর্তি করে সমস্ত কিছু দিয়ে দেবে। মা যে নেই সেটা বুঝতেই দেয় না। আমার বড় বৌদি এখনও পর্যন্ত চানাচুরের প্যাকেটটা আর একটা বড় চকলেট রেডি করে রাখতে কখনো ভোলে না। কি করে বোঝে আমি যাব কে জানে? ঠিক বার করে দেবে'। এবার আসা যাক বড়দাদার কথায়। তিনি কী দিলেন অপরাজিতাকে?
অপরাজিতার সংযোজন, 'আমার বড়দাদা বছরের শ্রেষ্ঠ গিফট দিয়েছে। ট্রেন থেকে পুতুলটা কিনে এনেছিল, আমাকে দিয়েছে। আমার ব্যাগের চেনে যে চাইমটা থাকে সেটা ভেঙে গিয়েছিল হয়তো এটা আমি সারা বছর লাগিয়ে রাখব সেই জন্য। সবকিছু মিলেমিশে বছরে শেষটা একদম মিষ্টি হয়ে গেছে। আমি আমার পরিবারকে বড় বেশি ভালোবাসি। আর বাড়িতে গেলেই মনে হয় বড় জ্যাঠা, বড়মা, ছোট কাকা, মেজ জ্যাঠা, বাবা, মা, দিদা সবাই আমাদের দেখছেন এবং আশীর্বাদ করছেন। রানি দিদি আর বড় বৌদি না থাকলে জীবনটা এত মিষ্টি হত না'।