ভূত চতুর্দশী হোক কিংবা কালীপুজো, এবার তিথি মিলিয়ে দুদিন করে পড়েছে। রবিবার রাতেই ভূত চতুর্দশীর আমেজে মেতেছিলেন অপরাজিতা আঢ্য। শখ করে শেঁওড়া গাছের পেত্নি সেজেছেন তিনি। আর সেই ছবি শেয়ার করতেই নেটপাড়ায় শোরগোল। কেউ প্রশংসায় মিষ্টি ভূত বলে আখ্যা দিয়েছেন তো একাংশ আবার বেজায় ট্রোল করলেন।
Advertisment
ভূত চতুর্দশীতে শৈশবের স্মৃতি আউড়ে অপরাজিতা বললেন, ছোটোবেলায় কাকুদের নাটকে আমি সবসময়ই শেঁওড়া গাছের পেত্নী সাজতাম। এতই রোগা ছিলাম, গাছের যে কাঠামো তৈরি করা হত সেটা বেয়ে উঠতে আমার কোনও অসুবিধা-ই হত না। তাই ওই পাঠটা আমার ছিল। অনেকদিন ধরে খুব ইচ্ছে করছিল শেঁওড়া গাছের পেত্নী সাজতে, এই ভূত চতুর্দশীর সুযোগে সেজে ফেললাম।
পরনে কালো, সোনালি রঙের পোশাক। মাথায় সোনালি সিং। সারা গায়ে টুনি চোখজুড়ে কাজলের মাখামাখি। আঙুলে লম্বা লম্বা নখ। ঠোঁটে গাঢ় লিপস্টিক। চোখের দৃষ্টি দেখে মনে হল অগ্নি ভাঁটা বেরচ্ছে… ভূতুড়ে অবতার ধারণ করতে কোনওরকম কসরত রাখেননি অপরাজিতা। কিন্তু তাও নেটপাড়ার মন মজল না তাতে।
Advertisment
আসলে বাঙালি ভূতের এমন অবতার সম্ভবত কারও ভাল লাগেনি। তাই অনেকেই অপরাজিতাকে বললেন, "শেঁওড়া গাছের পেত্নী এরকম দেখতে নয়। ক্রিসমাসের পেত্নি মনে হচ্ছে।" আবার কেউ বিজয়া সম্মিলনী প্রসঙ্গ টেনে অভিনেত্রীকে বললেন, "দিদির একটা ভাল ছবি কপালে লাগিয়ে নিতে পারতেন। তাহলে ১০০ শতাংশ পূরণ হত।"
তবে কটাক্ষ, ট্রোল, সমালোচনা যতই হোক, অপরাজিতা আঢ্যর অনুরাগীরা কিন্তু তাঁর প্রশংসা করতে ছাড়েননি। বলছেন, 'এত মিষ্টি ভূত এর আগে দেখিনি। … পেত্নি এত মিষ্টি হলে কেউ ভয় না পেয়ে প্রেমে পড়ে যাবেন।'