/indian-express-bangla/media/media_files/2025/04/29/IGmxLGyYiaDkodP4TvSz.jpg)
পুজো মানেই এমন একটা সময় যখন লাগামছাড়া আনন্দ। সারাবছর বাঙালি অপেক্ষা করে থাকে, পুজোর আনন্দে মেতে উঠবে বলে। তারকাদের কাছেও পুজো মানে এক নিদারুন সুন্দর সময়। সারাদিন আড্ডা- ঠাকুর দেখা এবং কাছের মানুষদের সঙ্গে উল্লাসে-আনন্দে মেতে ওঠা। তারকাদের ক্ষেত্রেও একই দৃশ্য দেখতে পাওয়া যায়। বরং, বলা উচিত, তাঁদের ছেলেবেলা ছিল অত্যন্ত আকর্ষণীয়।
পুজো মানেই একেকজনের কাছে একেকটা অভিজ্ঞতা। কারওর বাড়িতে কারফিউ, তো কারওর আবার নানা ধরণের সুখ-স্মৃতি। অভিনেত্রী অপরাজিতা আঢ্য, তাঁর জীবনে পুজোর সময় যা যা দেখেছেন, সেই স্মৃতি-ই উজাড় করলেন। অভিনেত্রীর কথায়, "সারাবছর ঝড়-জল-বৃষ্টি-বন্যা যাই হোক না কেন, আমার বাড়ি ঢোকার কারফিউ সবসময় রাত ৯টা। সকলের যখন পুজো শুরু হত, আমার তখন শেষ হত। আর এই বিষয়টা যে আমার কাছে কী যন্ত্রণার ছিল। শুধু আমি জানি।"
কিন্তু, শ্বশুরবাড়িতে এসে তিনি সব পেয়েছেন। এতটাই পেয়েছেন যে সব নিয়ম কানুন মাথায় তুলেছেন পুজোর আনন্দে। অভিনেত্রী আরও শোনালেন, "আমার বাপের বাড়িতে একটু ছোঁয়াছানির সমস্যা ছিল। কিন্তু, শ্বশুরবাড়িতে সেসব সমস্যা ছিল না। আমি এখানে এসে যত বেলেল্লাপনা করেছি, তাঁর সিকিভাগ বাপের বাড়িতে করিনি। বাবার বাড়িতে নিয়ম ছিল, পুজোয় একদম সাদামাটা নিরামিষ - ডাল ভাত তরকারি এসব। আর এই বাড়িতে এসে সব পাল্টে গেল। রাত করে ঠাকুর দেখা, উচ্ছ্বাস, এই সেই...!" যদিও...
অপরাজিতা বেশ ধার্মিক মানুষ। তিনি নিজের বাড়িতে অন্যান্য পুজো এবং উৎসবে সামিল হন। পাড়ার দুর্গাপুজোয় ঠিক কী ভূমিকা তাঁর? অভিনেত্রীর কথায়, আমি তো শ্বশুরবাড়ির পাড়ার পুজোয় খুব এক্টিভ। সেখানেই থাকি, অঞ্জলি দি। ওখানে একদম আমি পাড়ার বৌমা। এসব মিলিয়েই পুজো কাটে। কিন্তু.. এই যে পুজো আসছে, সেটা কীভাবে অনুভব করতে পারেন তিনি?
আরও পড়ুন পুজোয় মা-কে কাছে পাওয়াই ছিল মোক্ষম আনন্দঃ মানসী সিনহা
হাসতে হাসতে তিনি বললেন, পুজো আসছে কীভাবে বুঝতে পারি? যখন সমস্ত পেমেন্ট গুলো ক্লিয়ার করতে হয়। সকলে বলে, এবার একটু বোনাস বাড়িয়ে দাও। তখনই বুঝতে পারি। সবার আবদার যখন বেড়ে যায়, সেটাই আমার কাছে পুজো আসার ইঙ্গিত।