হেয়ার ড্রেসার মহিলাকে নিয়ে শুরু হয়েছে আলোচনা। কিছুদিন আগে তিনি গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যা করতে গিয়েছিলেন। তাঁকে কোনমতে বাঁচানো হয়েছে। এবং এর পরেই নানা অভিযোগ উঠে আসছে। তাঁকে গিল্ড সাসপেন্ড করেছিল তিন মাসের জন্য। তারপর এও বলা হয় যে, তিনি নিজে থেকে কোনও কাজ করবেন না, গিল্ড যা দেবে তাই।
এই প্রসঙ্গেই সভাপতি স্বরূপ বিশ্বাস একটি প্রশ্ন তুলেছিলেন। তিনি সেই হেয়ার স্টাইলিস্টকে একটি চিঠিতে লেখেনি, আমাদের সংগঠনের কমিটি দ্বারা সম্মিলিতভাবে এই পত্র আপনার নামে দিয়েছেন। সেই পত্রটি আপনাকে দেওয়া হল। এই অভিযোগ পত্রের সপক্ষে উপযুক্ত বিশ্লেষণ আপনাকে পত্র মারফত দিতে হবে। এই অভিযোগ পত্রের সপক্ষে যতদিন না উত্তর দিতে পারছেন, ততদিন পর্যন্ত সাংগঠনিকভাবে করা সকল প্রকার কাজ হতে আপনাকে কর্মবিরতিতে থাকতে হবে। এমনকি ডিরেক্টর গিল্ডের কাছে বেশ কয়েকটা প্রশ্ন করেছেন তিনি।
তাঁর বক্তব্য ছিল এই, যে সেই হেয়ার ড্রেসারকে কোনোদিন সাসপেন্ড করা হয়নি। পারলে প্রমাণ দিন। এমনকি আরও অনেক কিছুই সেই বিবৃতিতে বলা হয়। সেই ভিত্তিতে প্রশ্ন করেছেন অপর্ণা সেন। অভিনেত্রী এবং বুদ্ধিজীবী স্বরূপ বিশ্বাসের কাছে বেশ কিছু প্রশ্ন রেখেছেন।
আরও পড়ুন - Dev: 'দেব সাংসদ, এটা করতে পারল?' সোশ্যাল মিডিয়ায় আক্রমণ প্রসঙ্গে ঠোঁটকাটা 'টেক্কা' অভিনেতা
কী বলছেন অপর্ণা?
"চিঠিগুলি পড়লাম। আমার কয়েকটি প্রশ্ন আছে। প্রথম প্রশ্ন, শ্রী স্বরূপ বিশ্বাস কি সিনেমা তথা টেলিভিশন ইন্ডাস্ট্রির কোনও টেকনিশিয়ান? যদি না হন, তাহলে শুধুমাত্র TMC’র পার্টি সদস্য হওয়ার সুবাদে কেমন করে তিনি এই ইন্ডাস্ট্রির ফেডারেশনের সভাপতি পদে বহাল থাকতে পারেন? শুনলাম তাঁর নাকি সহকারী পরিচালকের কার্ড আছে। কিন্তু আমি যতদূর জানি, অন্তত দুটি ছবিতে অবসার্ভারের কাজ না করলে সহকারী পরিচালকের কার্ড পাওয়া যায় না। দ্বিতীয় প্রশ্ন, তিনি যে দুটি ছবিতে অবসার্ভার ছিলেন, সেই দুটি ছবির নাম কী? তৃতীয় প্রশ্ন, সহকারী পরিচালকের কার্ড হাতে পাওয়ার পর থেকে তিনি আজ পর্যন্ত ক’টি ছবিতে কাজ করেছেন, এবং ছবিগুলির নাম কী? শুনেছি সহকারী পরিচালকের কার্ড হাতে পাওয়ার ১৩ মাসের মধ্যে কোনও ছবিতে সহকারী পদে কাজ না করলে, সহকারী কার্ডটি খারিজ হয়ে যায়। একথা যদি সত্যি হয়, এবং উনি যদি ১৩ নাসের মধ্যে কোনও ছবিতে কাজ না করে থাকেন, ওঁর কার্ড কি খারিজ করা হয়েছে?"
উল্লেখ্য, শেষ কিছুদিনে অনেক কিছু ঘটেছে। ইন্ডাস্ট্রি জুড়ে অনেক কথা উঠে আসছে। সেই নিয়ে আন্দোলন হচ্ছে প্রতিনিয়ত।