'বউ এমন খুঁজো যে অশান্তি করবে না..', ছেলে এ আর রহমানের মুখে এমন কথা শুনে তাজ্জব হয়েছিলেন মা। বিয়ে করতে গিয়ে এ কেমন শর্ত!
রহমানকে রোম্যান্টিক মিউজিকের গুরু বললেও অত্যুক্তি হয় না। যার করা সুর-তালে আপামর দেশবাসী মাতোয়ারা, সেই তিনিই কিনা বিয়ের আগে মা করিমা বেগমের কাছে বিয়ের আগে পাত্রীর গুনাগুন নিয়ে শর্ত রেখেছিলেন। ১৯৯৫ সালে সায়রার সঙ্গে নিকাহ সারেন এআর রহমান। বাড়ি থেকে দেখাশোনা করেই বিয়ে ঠিক করা হয় তাঁর।
নয়ের দশকের মাঝামাঝি। রহমান তখন চূড়ান্ত ব্যস্ত একাধিক ছবির গানের কাজ নিয়ে। তাই নিজে গিয়ে পাত্রী দেখা, খোঁজখবর নেওয়ার সময় তাঁর ছিল না। এদিকে ২৯ বছর বয়স। বাড়ি থেকেও বিয়ে করার কথা বলা হচ্ছিল তাঁকে। রহমানও তখন ভাবেন, এটাই ঠিক সময় বিয়ে করার। অগত্যা যথোপযুক্ত পাত্রীর জন্য পরিবারের দ্বারস্থ হন তিনি।
'রোজা', 'বম্বে' দুই সিনেমায় রহমানের মিউজিক তখন গোটা দেশে সুপারহিট। মোজার্ট অফ মাদ্রাস সেইসময়ে 'রঙ্গিলা' ছবির কাজ শুরু করেছেন। তখনই বিয়ে করার কথা মনস্থ করেন তিনি। সোজা মা-কে গিয়ে বলেন, "আমাকে একটা বউ খুঁজে দাও।" শুনেই মায়ের জিজ্ঞাস্য ছিল, কীরকম পাত্রী চাই? তার জবাবেই রহমান পাত্রীর গুনাবলী সম্পর্কে মা-কে বলেন।
<আরও পড়ুন: দীপিকার জন্মদিনে স্বামী রণবীরকেও ‘টেক্কা’ শাহরুখের! করলেন এই বিশেষ কাজ>
রহমান মা-কে বলেছিলেন, "একটা সাধারণ, ঘরোয়া মেয়ে। যে আমাকে বেশি বিরক্ত করবে না, যাতে আমি আমার মিউজিকের কাজটা শান্তি মনে করতে পারি। আর হ্যাঁ, যে আমাকে অনুপ্রেরণা জোগাবে। পড়াশোনা জানা, উদার মনের হবে।"
রহমান আর সায়রার প্রথম আলাপটাও হয় খুব মজা করেই। চা খেতে খেতেই কথা বলেন দুজনে। রহমান সোজাসাপটা জিজ্ঞেস করেন, তুমি কি আমাকে বিয়ে করতে চাও না তোমার মনে অন্য কোনও পরিকল্পনা রয়েছে? জবাবে সায়রা প্রথমেই সবুজ সংকেত দেন। বিয়ের পর প্রথম প্রথম সায়রা খুব বিরক্ত হতেন। কারণ, সেলিব্রিটি জীবনযাপনে তিনি একেবারেই অভ্যস্ত ছিলেন না। বাইরে বাজার করতে যেতে পারতেন না, সাধারণভাবে চলাফেরা করতে পারতেন না। আসলে সায়রাকে বিয়ের আগেই রহমান এমন জীবনযাপনের কথা জানিয়ে দিয়েছিলেন। আর সেই চুক্তি অনুযায়ীই সুখে ঘরকন্না করেন রহমান-সায়রা।