মুর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জ থেকে উঠে আসা ছেলেটি আজ মুম্বইয়ের পয়লা নম্বর গায়ক। বিগত কয়েক বছর ধরেই বলিউডের প্রযোজক-পরিচালকরা অরিজিৎ সিং-কে তাঁদের পছন্দের তালিকার শীর্ষে রেখেছেন। মাসে কোটির ওপর আয়। মুম্বইয়ের আন্ধেরিতে বিলাসবহুল ফ্ল্যাট। আসমুদ্র হিমাচল যাঁর সুরের মূর্ছনায় মোহিত, সেই মানুষটি-ই কিনা একেবারে 'আম-আদমি'। কোনওরকম সেলেবসুবো হাবভাব নেই। ছেলেকে নিয়ে আর পাঁচজন অভিভাবকের মতোই স্কুলের গেট খোলার অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকেন।
Advertisment
এত বড় তারকা হয়েও কীভাবে আজও মাটিতে পা রেখে চলেন, সেকথা মুর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জ থেকে শুরু করে অরিজিৎ-ঘনিষ্ঠ সকলেরই জানা। ছেলেকেও ভর্তি করিয়েছেন জিয়াগঞ্জের-ই স্কুলে। তারকাসুলভ কোনও হাবভাব-ই নেই। এই কখনও বাজারে গিয়ে মাছ-সবজি কিনছেন হাতে ব্যাগ নিয়ে। আবার কখনও বা দিব্যি চায়ের দোকানে বসে আড্ডা দিচ্ছেন। তাঁর এহেন সাদামাটা আচরণ দেখে তো হতবাক অনুরাগীরা। আজও কেউ জনপ্রিয়তার শীর্ষে উঠে এমনভাবে জীবনযাপন করতে পারেন? প্রশ্ন তাঁদের।
জিয়াগঞ্জেরই এক বেসরকারি স্কুলে নিজের সন্তানকে ভর্তি করিয়েছেন অরিজিৎ, যা রোজগার চাইলেই মুম্বই কিংবা কলকাতার কোনও নামী স্কুলে ভর্তি করাতে পারতেন তিনি। কিন্তু সেপথে হাঁটেননি। উল্লেখ্য, গত অতিমারী আবহের সময় থেকেই জিয়াগঞ্জে রয়েছেন অরিজিৎ। মায়ের মৃত্যুর পর থেকে একাধিক হাসপাতালে অক্সিজেন সরবরাহ করা থেকে শুরু করে আর্থিক অনুদান দিয়ে রোগীদের সাহায্যও করেছেন। কিন্তু কখনও তার বদলে নেটদুনিয়ায় প্রচার করেননি।
শুধু তাই নয়, অরিজিৎ সিং নিজে যে স্কুলে পড়াশোনা করেছেন- রাজা বিজয় সিং বিদ্যামন্দির, সেই স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির দায়িত্বপদও গ্রহণ করেছেন গায়ক সম্প্রতি। পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণী অবধি এই স্কুলেই পড়তেন তিনি।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন