মুর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জের ছেলেটা আজ মুম্বইয়ের ১ নম্বর গায়ক। গত কয়েক বছর ধরেই বলিউডের প্রযোজক-পরিচালকরা অরিজিৎ সিং (Arijit Singh)-কে তাঁদের পছন্দের তালিকার শীর্ষে রেখেছেন। বিদেশেও তাঁর কম অনুরাগী নেই! মাসে কোটির ওপর আয়। মুম্বইয়ের আন্ধেরিতে বিলাসবহুল ফ্ল্যাট। আসমুদ্র হিমাচল যাঁর সুরের মূর্ছনায় মোহিত, সেই মানুষটি-ই কিনা একেবারে ‘আম-আদমি’। কোনওরকম সেলেবসুবো হাবভাব নেই। ছোটবেলার দিদিমণির সঙ্গে দেখা হতেই পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করে ফেললেন। আর সেই ছবি ভাইরাল হতেই নেটদুনিয়ায় অরিজিতের প্রশংসায় পঞ্চমুখ অনুরাগীরা।
এত বড় তারকা হয়েও কীভাবে আজও মাটিতে পা রেখে চলেন, সেকথা মুর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জ থেকে শুরু করে অরিজিৎ-ঘিষ্ঠদের সকলেরই জানা। পুরনো বন্ধু তো কোন ছাড়, ব্যস্তজীবনে মানুষ আজকাল শিক্ষক-শিক্ষিকাদের কথাও মনে রাখেন না। আর সেখানে এত বড় তারকা হয়েও অরিজিৎ শৈশবের বিদ্যালয়ে গিয়ে পঞ্চম শ্রেণীর ইংরেজি শিক্ষিকার সঙ্গে দেখা করে এলেন। শুধু তাই নয়, পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করলেন। দিদিমণির পায়ের কাছে রীতিমতো হাঁটু গেড়ে বসে ছবি তুললেন। সেই ছবি নেটদুনিয়ায় ভাইরাল হতেই ভূমিপুত্র-কে নিয়ে গর্বিত জিয়াগঞ্জ (Arijit Singh in Jiaganj)।
<আরও পড়ুন: হলে দেখতে যাওয়ার আগেই উধাও ‘ধাকড়’, কঙ্গনার ছবি নিয়ে বেফাঁস সহ-অভিনেতা শাশ্বত>
নেটদুনিয়ায় কমেন্টের বন্যা। এক শিক্ষিকা তো বলেই ফেললেন, একজন শিক্ষিকার কাছে এর থেকে বড় আর কী হতে পারে যে, তাঁর ছাত্র জীবনে সাফল্যের চূড়ায় পৌঁছেও তাঁকে ভুলে যাননি। বরং আজও সেই ছোটবেলরা মতোই দিদিমণির সঙ্গে দেখা গলে একগাল হেসে গল্প করে যান।
প্রসঙ্গত, অরিজিৎ সিং নিজের সন্তানকে ভর্তি করিয়েছেন জিয়াগঞ্জের-ই এক ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে। দিন কয়েক আগে আর পাঁচজন অভিভাবকের মতো স্কুলের গেটে দাঁড়িয়ে ছেলেকে ছাড়তে গিয়েছিলেন। তারকার লেশমাত্র নেই! এই কখনও বাজারে গিয়ে মাছ-সবজি কিনছেন হাতে ব্যাগ নিয়ে। আবার কখনও বা দিব্যি চায়ের দোকানে বসে আড্ডা দিচ্ছেন। তাঁর এহেন সাদামাটা আচরণ দেখে তো হতবাক অনুরাগীরা। আজও কেউ জনপ্রিয়তার শীর্ষে উঠে এমনভাবে জীবনযাপন করতে পারেন? প্রশ্ন তাঁদের।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন