তাঁর সুরেলা কণ্ঠে দিন থেকে রাত হয় আপামর ভারতবাসীর। তাঁর সুরে যেমন প্রেম রয়েছে তেমনই রয়েছে মনখারাপের রেশ। বাংলার ছেলে অরিজিৎ নিজের কণ্ঠের মাধ্যমে মানুষকে যেমন আবেগপ্রবণ করে তুলতে পারেন তেমনই তাঁকে নাচের ছন্দে ফেরাতেও পারেন। তবে, নেই কোনও অহংকার কোনও দম্ভ - তাই বোধহয় মানুষের কথা এত চিন্তা করেন তিনি।
মুর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জের ছেলে অরিজিৎ (Arijit Singh), বলিউড থেকে টলিউড তাঁর সুরের নেশায় মত্ত, তবে তিনি কাঁপালেও একেবারেই ভিন্ন ধরনের মানুষ। আর পাঁচজন সাধারণ মানুষের মতই তাঁর জীবনযাত্রা। বেশিরভাগ সময় জিয়াগঞ্জেই থাকেন। শুধু তাই নয়, হেঁটে-স্কুটি নিয়ে ঘুরতে পছন্দ করেন। এক্কেবারে সাদামাটা মানুষ। জিয়াগঞ্জে একটি হোটেলও চালান দীর্ঘদিন ধরে। যেখানে ত্রিশ টাকার বিনিময়ে মেলে ভরপেট খাবার। সম্ভবত, সেই হোটেল এতদিন চালাতেন তাঁর বাবা, তবে এবার ছেলে হয়ে সেই দায়িত্ব পালন করবেন অরিজিৎ।
আরও পড়ুন < সামনের বছরই গাঁটছড়া বাঁধছেন সিড-কিয়ারা? জল্পনা তুঙ্গে! >
হোটেলের নাম হেঁশেল। জিয়াগঞ্জের জনপ্রিয় হোটেলের মধ্যে অন্যতম। পাঁচতারা হোটেল নয়, কিন্তু ভরপেট খাবার পেতে গেলে একবার ঢু মারতেই হবে। সস্তার ভাতের হোটেল হলেও, ভেতরটা কিন্তু সাজানো গোছানো। প্রতিদিনের খাবার ছাড়াও পাওয়া যাবে মাছ মাংস পনির নানান কিছু। তবে দাম একেবারেই সাধ্যের মধ্যে।
গুঞ্জন এখানেই, যে এই হোটেলে খাবারের সঙ্গে নাকি অরিজিতের অটোগ্রাফ পর্যন্ত মেলে! একেই বেশিরভাগ সময় নিজের এলাকায় থাকতেই পছন্দ করেন তিনি। জানা যায়, অরিজিতের বাবার এই হোটেল সেখানে বহু পুরনো। এই ব্যবসা করেই ছেলেকে মানুষ করেছিলেন তিনি। আর আজ, সেই হোটেলকে নিজের দায়িত্বে নিয়েছেন অরিজিৎ।
অরিজিৎ মানেই সুপারহিট। অরিজিৎ মানেই আবেগ। তাঁর অতি সাধারণ জীবন যাপন নিয়ে চর্চার শেষ নেই। নিজের এলাকার উন্নয়নে নানা কাজ করছেন। সম্প্রতি, দুঃস্থ শিশুদের ইংরেজি শেখার সুযোগ করে দিয়েছেন তিনি।