অবশেষে কাটল পাঁচদিনের অচলাবস্থা। শুক্রবার থেকেই শুরু হবে শুটিং। বৃহস্পতিবার নবান্নে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে আলোচনায় বসে ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন অব টেলিভিশন প্রোডিউসারস ও পশ্চিমবঙ্গ মোশন পিকচার্স আর্টিস্টস ফোরাম। বিকেল চারটে নাগাদ শুরু হয় মিটিং। এরপরই সাংবাদিক বৈঠক করে সিরিয়াল সমস্যার সমাধানের কথা জানালেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
শুক্রবার থেকেই শুরু হয়ে যাবে শুটিং। দুই পক্ষের মধ্যে সমস্যার সমাধানের জন্য গঠন করা হচ্ছে জয়েন্ট কনসিলিয়েশন কমিটি। কারোর সমস্যা যাতে না হয় সে জন্যই এই কমিটি তৈরি করে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যার শীর্ষ উপদেষ্টা হিসাবে রাখা হল সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কে। আর্টিস্ট ফোরামের তরফে থাকছেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় ও অরিন্দম গাঙ্গুলি। রাখা হয়েছে টেলি অ্যাকাডেমির সভাপতি ও মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসকে। থাকছেন শ্রীকান্ত মোহতা, স্বরূপ বিশ্বাস, অপর্ণা ঘটক, লীনা গঙ্গোপাধ্যায়, নিসপাল সিং রানে ও শৈবাল বন্দ্যোপাধ্যায়। এছাড়াও চ্যানেলগুলির তরফে থেকে রাখা হল একজন করে প্রতিনিধি। স্টার জলসা থেকে সাগ্নিক ঘোষ, জি থেকে সম্রাট ঘোষ ও কালার্স থেকে থাকছেন রাহুল ঘোষ।
এদিনের বৈঠকে ঠিক হল ১৫ তারিখের মধ্যেই দিতে হবে পারিশ্রমিক। প্রতিমাসে আলোচনায় বসবেন জয়েন্ট কনসিলিয়েশন কমিটি। বৈঠক শেষে মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানালেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘'মুখ্যমন্ত্রীকে অনেক ধন্যবাদ, সমস্যা মিটেছে। আশা করি ইন্ডাস্ট্রির আরও উন্নতি হবে'’।
আরও পড়ুন, সিরিয়াল সমস্যার সমাধানে নবান্নে আলোচনায় বসছেন মুখ্যমন্ত্রী
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন বলেন, ‘‘কাল থেকেই শুটিং শুরু হচ্ছে। প্রত্যেকে দিলখোলা আলোচনা করেছে, খুশি মনে কথা বলেছেন, আর সমস্যার সমাধানের জন্যই চার উইন্ডোকে এক উইন্ডোতে আনা হল’’। অর্থাৎ টেলি অ্যাকাডেমি, ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন অব টেলিভিশন প্রোডিউসারস, পশ্চিমবঙ্গ মোশন পিকচার্স আর্টিস্টস ফোরাম ও ফেডারেশন অব সিনে টেকনিশিয়ান্স অ্যান্ড ওয়ার্কার্স অব ইস্টার্ন ইন্ডিয়ার সদস্যদের নিয়ে তৈরি করা হল জয়েন্ট কনসিলিয়েশন কমিটি। শুক্রবার থেকে শুটিং শুরু হবে টলিপাড়ায় আর দাবি নিয়ে আলোচনা চলবে এই কমিটিতে।
প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, সমস্যা মিটে যাওয়ায় তাঁরা সকলেই খুশি। দর্শকরা যে নতুন কাহিনি দেখতে পাবেন, সেকথাও একইসঙ্গে উল্লেখ করেছেন তিনি।
আরও পড়ুন, জট কাটলনা বাংলা সিরিয়ালের, সমাধানের চেষ্টায় প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়
প্রসঙ্গত, যথাসময়ে পারিশ্রমিক এবং ১০ ঘণ্টা কাজের দাবি নিয়ে শিল্পী ও প্রযোজকদের মধ্যে চাপান উতোরের জেরে মেগা সিরিয়ালগুলিং শুটিং বন্ধ হয়ে যায় গত শনিবার থেকে। পরিস্থিতি এমন জায়গায় যায় যে, প্রতি সন্ধেয় পুনঃসম্প্রচার করতে হয় চ্যানেলগুলিকে। তা নিয়ে টলিপাড়া যেমন বিপাকে পড়েছিল, তেমনই চোখে অন্ধকার দেখেন নিত্য সিরিয়ালের দর্শকরা।