মাদককাণ্ডে মেলেনি রেহাই! গত রবিবার থেকে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর হেফাজতে রয়েছেন আরিয়ান খান (Aryan Khan)। বৃহস্পতিবার ফের তাঁকে কোর্টে পেশ করা হলে, শাহরুখ-পুত্রের জামিনের আবেদন নাকচ করে জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারপতি। আর শুক্রবার সকালে যখন জামিনের মামলার শুনানি চলছিল, তখন কোর্টে দাঁড়িয়ে শাহরুখ-পুত্রর মন্তব্য, "আমি সম্ভ্রান্ত পরিবারের ছেলে, কখনও পালাব না।"
এখানেই শেষ নয়। আরিয়ান খান আদালতে স্পষ্ট জানিয়েছেন, "আমি ২৩ বছর বয়সি একটা ছেলে, যাঁর পূর্ববর্তী কোনও খারাপ রেকর্ড নেই। আমার হয়তো বলিউডে থাকা উচিত ছিল। সেদিন যখন আমি প্রমোদতরীর রেভ পার্টিতে পৌঁছই ওঁরা আমার উপর তল্লাশি চালান। কিন্তু কিছুই খুঁজে পাওয়া যায়নি। এরপরই আমার মোবাইল ঘেঁটে দেখে সমস্ত ডেটা ডাউনলোড করে ফেলেন। এরপরই ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয় মোবাইল। প্রথমদিন থেকে আজ অবধি সেরকমভাবে কিচ্ছু খুঁজে পাওয়া যায়নি।"
<আরও পড়ুন: জামিনের আর্জি খারিজ আরিয়ান খানের, ১৪ দিনের জেল হেফাজত শাহরুখ-পুত্রর>
এরপরই শাহরুখ-পুত্র কোর্টকে জানান, "অর্চিত কুমারের সঙ্গে যোগাযোগের বিষয়টি প্রথমদিনই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল। গোয়েন্দা আধিকারিকরা নিজেদের মতো সময়ও নিয়েছেন তদন্তের জন্য। ওদের যুক্তি হল, আমাকে বসিয়ে মুখোমুখি জেরা করা হোক। সেটা ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্টের তরফে নাকচ করে দেওয়া হয়েছে। শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, জিজ্ঞাসাবাদ, তদন্ত, মুখোমুখি জেরা করা হবে তখনই, যখন কেউ জামিনে ছাড়া পাবে।" আরিয়ানের হয়ে এই মন্তব্য সংবাদমাধ্যমকে জানায় তাঁর আইনজীবী সতীশ মানশিন্ডে।
প্রসঙ্গত, মাদককাণ্ডে শাহরুখ-পুত্রের গ্রেফতারিতে উদ্বিগ্ন গোটা বলিউড। সোশ্যাল মিডিয়াতেও শোরগোল। নেটদুনিয়ার নীতিপুলিশদের একাংশ যখন স্টার-কিডের বিলাসবহুল জীবনযাত্রা থেকে শুরু করে শাহরুখ-গৌরীর (Shah Rukh Khan, Gauri Khan) শিক্ষা-রুচি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন, তো এক পক্ষ আবার বলিউড বাদশার সমর্থনে মুখ খুলেছেন। তবে শুক্রবার কোর্টে দাঁড়িয়ে আরিয়ান যখন বলেছেন, "আমি সম্ভ্রান্ত পরিবারের ছেলে, পালিয়ে যাব না…" সেই কথা প্রকাশ্যে আসতেই নেটজনতার একাংশ আবার শাহরুখ-পুত্রকে সহমর্মিতাও জানিয়েছেন।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন