/indian-express-bangla/media/media_files/2025/10/01/asha-bhosle-2025-10-01-17-44-17.jpg)
সেদিন কী বলেছিলেন আশা?
আশা ভোঁসলে আর আরডি বর্মণ- দুজনের গল্পটা যেন তাঁদের সঙ্গীতের মতোই। সুর আর কণ্ঠের মেলবন্ধনে শুরু হলেও, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেই সম্পর্ক গভীর ব্যক্তিগত বন্ধনে জড়িয়ে যায়। একে অপরের হাত ধরে পেরিয়ে এসেছেন বহু পথ।
কিন্তু সেই যাত্রা কখনোই একেবারে মসৃণ ছিল না। সুরকার হিসেবে একসময় যার সঙ্গীত মুম্বই জুড়ে আলোড়ন তুলেছিল, সেই আরডি বর্মণ জীবনের শেষ দিকে এসে হারিয়ে ফেলেছিলেন অনেকখানি স্বীকৃতি। কঠিন সেই দিনগুলোয়, পাশে থেকে তাঁকে ভরসা দিয়েছিলেন আশা ভোঁসলে। যতটা সাফল্য তাঁর সুরে গান গেয়ে পেয়েছেন তিনি, ততটাই স্বামীকে হারানোর যন্ত্রণা ছিল সাংঘাতিক।
১৯৯৪ সালের ৪ জানুয়ারি। টানা দুটি হার্ট অ্যাটাক কেড়ে নেয় আরডি বর্মণের প্রাণ। সেদিন সংগীতজগতে নেমে আসে অন্ধকার। আশার জীবনে নেমে আসে অচিন্তনীয় শূন্যতা। অজিতাভ মেমনের স্মৃতিচারণে ধরা পড়েছে সেই বেদনার মুহূর্ত। বলা হয়, স্বামীর মৃতদেহ সামনে দেখতে পারেননি আশা। ঘরে ঢোকার আগেই কান্নায় ভেঙে পড়ে তিনি বলেছিলেন.. অত্যন্ত অল্প বয়সেই না ফেরার দেশে পাড়ি দেন রাহুল দেব বর্মণ। এবং তাঁর মৃত্যুর সংবাদে ভেঙে পড়েন আশা। তিনি নাকি এও বলেছিলেন..
Varun Dhawan: সকাল ৭টা থেকে অ্যালকোহল! অদ্ভুত অভিজ্ঞতার কথা জানালেন বরুণ
"আমি ওই ঘরে ঢুকব না। আমি তাকে মৃত অবস্থায় দেখতে পারব না। আমি তাকে জীবিত-ই স্মরণ করতে চাই।" তখনই পাশে দাঁড়িয়ে তাঁকে সান্ত্বনা দিয়েছিলেন তাঁদের ঘনিষ্ঠ বন্ধু গুলজার। আর শ্রদ্ধা জানাতে এসেছিলেন অমিতাভ ও জয়া বচ্চন সহ আরও অনেকে। সেই শোকঘন পরিবেশে জয়া বচ্চন গীতার শ্লোক পাঠ করেছিলেন আরডি বর্মণের আত্মার শান্তির জন্য।
আজ এত বছর পরও, আশার হৃদয়ে রয়ে গেছে সেই স্মৃতি। আর ঠিক এই সময়েই, এক অন্যরকম লড়াইয়ের মুখোমুখি হয়েছেন তিনি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দুটি এআই প্ল্যাটফর্ম তাঁর গানকে অনুমতি ছাড়াই ব্যবহার করে তৈরি করেছে ভয়েস মডেল- যা বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহারও করা হয়েছে। এতে নিজের সুনাম ও অধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে বলে দাবি করেছেন আশা ভোঁসলে।
এই নিয়ে বম্বে হাইকোর্টে মামলা করেন তিনি। আদালত আপাতত তাঁকে সাময়িক স্বস্তি দিয়েছে এবং আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে মামলার শুনানি হওয়ার কথা। ভালোবাসা, বেদনা আর লড়াই- আশার জীবন যেন আজও এক অসমাপ্ত সুরের মতো বাজতে থাকে।