একজনকে বলা হয় 'দ্য নাইটেঙ্গল অফ বলিউড', আর অপরজন পরিচিত বলিউড 'ক্যাবারে সং ক্যুইন' নামে। লতা মঙ্গেশকর এবং আশা ভোঁসলে, ভারতীয় সংগীত জগতে দুই বোনের অবদান নিয়ে নতুন করে শব্দ সাজানোর প্রয়োজন হয় না। কিন্তু এই দুই সংগীতশিল্পীর রেষারেষি নিয়ে ইন্ডাস্ট্রির অন্দরে কান পাতলে বহু কথাই শোনা যায়। গানের জন্যই লতা এবং আশার সম্পর্ক মোটেই ভাল ছিল না, এমনকী দুই বোনের মধ্যে মান-অভিমানও হয়েছে… এহেন যাবতীয় কথা প্রচলিত রয়েছে। শোনা যায়, একসময়ে আশা আক্ষেপ করে বলেছিলেন, "সব মিষ্টি গানগুলো বর্মন সাব দিদিকে দিয়ে দেন!" কিন্তু আদৌ কি দুই বোনের মধ্যেকার এই তীব্র প্রতিদ্বন্দিতা তাঁদের মাঝে বিভেদ সৃষ্টি করেছিল? আজ আশা ভোঁসলের (Asha Bhosle) জন্মদিনে মুখ খুললেন বড় দিদি লতা মঙ্গেশকর (Lata Mangeshkar)।
Advertisment
লতার মন্তব্য, "আশা আর আমি ভীষণই ঘনিষ্ঠ। এখন আমাদের আর সেভাবে দেখা হয় না ঠিকই। কারণ, ও ওঁর ছেলে আনন্দের সঙ্গে অনেকটা দূরে থাকে। তবে এর আগে মুম্বইয়ের পেড্ডার রোডের প্রভু কুঞ্জে যখন আমরা দুই বোন পাশাপাশি অ্যাপার্টমেন্টে থাকতাম, তখন একে-অপরের বাড়িতে যাওয়ার জন্য মাঝখানে একটা দরজাও ছিল। জানি মানুষ বিশ্বাস করবেন না, কিন্তু এটাই সত্যি। অবশ্যই অতীতে আমাদের মধ্যে বিভেদ ছিল। কিন্তু ভাই-বোনের সম্পর্কের মধ্যে সেটা থাকে না বলুন তো!"
পাশাপাশি 'দ্য নাইটেঙ্গল অফ বলিউড' এও জানান যে, "আশা আর আমার মধ্যে পেশা নিয়ে কোনওদিন শত্রুতা কিংবা প্রতিযোগিতা ছিল না। কারণ, আমার আর ওঁর গানের ধরণ পুরোটাই আলাদা। যে গানটা আসা গাইতে পারত, সেটা আমি পারতাম না। এমনকী, পঞ্চমের (আর ডি বর্মন) জন্য আমরা দুই বোন যে গানগুলো গেয়েছি, সেগুলো একটা আরেকটার থেকে আলাদা। যেমন- 'কাটি পতঙ্গ' ছবিতে আমি গাইলাম 'না কোয়ি উমঙ্গ'। আর আশা গাইল 'মেরা নাম হ্যায় শবনম'। কারণ, ওই গান আমার দ্বারা হত না। ওট আশার গলাতেই মানাত।" বোন আসার জন্মদিনে দিদি লতা সাফ জানিয়ে দেন যে, তাঁদের মধ্যে যে বিভেদের কথাগুলো উঠে আসে, সেগুলো জল্পনা ছাড়া আর কিছুই নয়।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন