Advertisment

'চেহারার বালাই নেই, কিন্তু ওয়েস্টার্ন পরতে হবে!' বিস্ফোরক আশা পারেখ

বেশ কিছুদিন আগেই এই একই বিষয়ে মুখ খুলেছিলেন জয়া বচ্চন

author-image
IE Bangla Entertainment Desk
New Update
asha parekh questionning about western dress

আশা পারেখ

পোশাক নিয়ে চর্চার শেষ নেই। বিশেষ করে কে কি পোশাক পড়বেন এই নিয়ে এখন কথা না উঠলেই ভাল। তবে শেষ কিছুদিন জয়া বচ্চন এবং আশা পারেখ আবারও উস্কে দিয়েছেন বিতর্ক। এই যুগেও এসে এহেন কথাবার্তা একেবারেই মানতে পারছেন না অনেকে।

Advertisment

পুরনো দিনে কীভাবে তৈরি হত সিনেমা। তাতে হাজার প্রতিকূলতা ছিল। কিন্তু একেবারেই না থেমে এগিয়ে গেছেন আশা পারেখ। বর্ষীয়ান অভিনেত্রীর বক্তব্য, সবকিছু বদলে গেছে এখন। সিনেমায় পাশ্চাত্য প্রভাব বেড়ে গেছে। শুধু তাই নয়, ইঙ্গিত করলেন মেয়েদের ওয়েস্টার্ন পোশাককেও। অভিনেত্রীর কথায়, "এখন গাউন পরে মেয়েরা বিয়েবাড়ি যায়! আরেহ কেন? আমাদের ঘাগড়া চোলি, শাড়ি, সালোয়ার রয়েছে সেগুলো পড় না"!

যে সময় তিনি অভিনয় করতেন সেসময় শুটিং ফ্লোরে ওয়াশরুম ছিল না। সেই নিয়েও নানান কিছু শেয়ার করেছেন তিনি। তবে, এখনকার মেয়েদের ওয়েস্টার্ন পোশাক বেছে নেওয়ার পেছনে যে নায়িকারাই দায়ী সেও স্পষ্ট জানালেন তিনি। অভিনেত্রী বললেন, "নায়িকাদের স্ক্রিনে যে পোশাকে দেখে সেটাই শুধু কপি করে দেয় ওরা। মোটা হোক কিংবা রোগা, ওটাই পড়তে হবে। আমাদের দুনিয়াটা ওয়েস্টার্ন হয়ে যাচ্ছে এটা ভেবেই খারাপ লাগছে"।

আরও পড়ুন < ‘অতি শিক্ষিত মেয়েরা সর্ব্বনেশে! দ্বিচারিতা করে..’, জয়া বচ্চনের মন্তব্যে বিতর্কের আগুন >

সহজ ভাষায়, দৈহিক বৈশিষ্ট্যকে খোঁটা দিয়েছেন বলেই দাবি করেছে অনেকে। অন্তত এখনকার সময় এসে এই বিষয়ে কথা না বলাই ভাল বলে মনে করছেন তাঁরা। সেইসময় স্ক্রিনে নায়িকারা উপস্থিত হতেন শাড়ি কিংবা সালোয়ার পরে। তথাকথিত ভিন্ন ধরনের পোশাকের ট্রেন্ড শুরু করেছিলেন জিনাত আমান, হেলেন, ডিম্পল কাপাডিয়া এবং শর্মিলা ঠাকুর। তবে যুগ বদলেছে এখন।

প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে জয়া বচ্চন নিজেও এই বিষয়ে মতামত দিয়েছিলেন। ভারতের মেয়েরা পাশ্চাত্যের পোশাক বেশি পড়ছেন, তাও ছেলেদের সঙ্গে সমান পাল্লা দেওয়ার জন্য এই মন্তব্যও করেছিলেন। নারীদের পোশাকও যে বেশ সমৃদ্ধ সেই কথাও বলেন তিনি।

Bengali Television Bengali Actress Asha Parekh bollywood Entertainment News
Advertisment