একটা শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠান কেমন হতে পারে? কিংবা শোকসভায় মানুষ মানুষ ঠিক কী কী করতে পারেন? সিনে নির্মাতা মুকুল আনন্দের শোকসভায় হাজির হয়েছিলেন হিন্দি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির অনেকেই। তার মধ্যে একজন ছিলেন আশীষ বিদ্যার্থী। এই অভিনেতা বর্তমানে ফুড ব্লগার হিসেবে বেশি জনপ্রিয়। একের পর এক ছবিতে তিনি কাজ করেছেন।
চলচ্চিত্র নির্মাতা মুকুল এস আনন্দ যিনি সলমন খান, সঞ্জয় দত্ত এবং রবিনা ট্যান্ডন অভিনীত একটি চলচ্চিত্র 'দস' পরিচালনা করছিলেন, যা কখনই রিলিজ হয়নি, সেই মানুষটির শোক আসরেই গেছিলেন তিনি। অভিনেতা বলেন, "আমরা শুটিং করতে উটাহ গিয়েছিলাম। এই প্রথম আমি আমেরিকা গেলাম। আমরা ফিরে এলাম, এবং তিনি মারা গেলেন।"
Bollywood Director: পকেটে ৩০ টাকা নিয়ে মারা যান পরিচালক, মেয়েকে অর্…
সাইরাস ব্রোচার পডকাস্ট সাইরাস সেস-এ বিদ্যার্থী প্রার্থনা সভায় তাঁর অভিজ্ঞতার কথা স্পষ্টভাবে স্মরণ করেছিলেন। "আমি একজন শিক্ষানবিস ছিলাম, ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে একজন নবাগত। আমি কখনও মুম্বইয়ের প্রার্থনা সভায় যাইনি। প্রথমবার যখন আমি সেখানে গেলাম, তখন সবাই সাদা পোশাক এবং কালো রঙের সানগ্লাস পরে ছিল। আমি কখনো সাদা পোশাক পরিনি, সেদিনও তাই। আমার নিজেকে খুব অদ্ভুত মনে হচ্ছিল কারণ আমি একাই রঙিন পোশাকে গিয়েছিলাম।"
পরিস্থতি যাতে হাতের বাইরে না বেড়িয়ে যায় তাই অদ্ভুত জায়গা ছেড়ে হাতজোড় করে বেড়িয়ে আসছিলেন তিনি। এখানেই শেষ না। ঠিক যখন মাথা নিচু করে বেড়িয়ে আসছেন ঠিক এক জনৈক ব্যক্তি যা করেছিলেন আজও ভোলেননি তিনি। তাঁকে বলতে শোনা গেল আমি যখন বেড়িয়ে আসছি, খুব খারাপ লাগছিল আমার। এক ভদ্রলোক নিচুস্বরে বললেন, খুব সরি হ্যাঁ আমরা আগামী সপ্তাহে তারিখ নিয়ে কথা বলছি। আমি তাঁর দিকে তাকিয়ে স্মিত হাসলাম। বেড়িয়ে এসে ভাবছি, এটা কী হচ্ছিল এতক্ষণ?"
Ramayana: পর্দার রামকে 'দশরথ' হিসেবে মানতে পারবেন না, অরুণকে নিয়ে ব…
অভিনেতা জানান তিনি বুঝেছিলেন যতক্ষণ না পর্যন্ত কেউ ব্যক্তিগতভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন ততক্ষণ কেউ এখানে আক্ষেপ করেন না। তাঁর কথায়, এখানে সকলেই পেশাদার সক্ষমতা রেখে চলেন। আর কেউ মরে গেলে একসঙ্গে পেশা হিসেবে শোক পালন করছে সবাই। সবকিছু ধীরগতির, এবং সবাই ফিসফিস করছে।"