৫৭ বছরে বিয়ে করে কি অপরাধ করেছেন? আশিষ বিদ্যার্থী এবং রূপালী বড়ুয়ার সম্পর্কের কথা সকলেরই জানা। কিন্তু, তাঁদের বিয়ের পর থেকে নানা মন্তব্য, কটাক্ষ। একটা সময়, আশিষ বেজায় রেগে গিয়েছিলেন। আজও যেন সেসব বন্ধ হয়নি। দুজনের বয়স নিয়েও নানা নিন্দা করতে দেখা যায়।
কিন্তু, এসবকে গায়ে লাগানো একেবারেই উচিত বলে মনে হয় না আশিষ এবং তাঁর স্ত্রীর। তাঁরা প্রকাশ্যেই জানিয়েছেন, যেটা ঠিক মনে হয়েছে সেটাই করেছেন তাঁরা। বয়সের গাছ পাথর নেই, তাঁদের আবার ঘটা করে বিয়ে? আশিষকে নিয়ে চর্চা কম হয়নি। কিন্তু, তাঁরা নিজেরাও এসবে ভুলেও পাত্তা দেন না। অন্তত, এমনটাই জানিয়েছেন অভিনেতা। কিছুই তো ভুল করেননি তিনি। তাহলে এত কথা কেন?
এক সংবাদমাধ্যমে তাঁরা মুখ খুললেন। স্বামী এবং স্ত্রী দুজনেই যে সমস্যা এবং কটাক্ষ সহ্য করে জীবন পার করেছেন সেকথা মনে করতেই তাঁরা চরম বিরক্ত। আশিষ এর নববধূ বললেন, "আমি এসব পাত্তাই দি না। কারণ, যারা এসব কথা বলছেন তাঁদের চিনি না। এমন কিছু হয়তো দেখেছে যা তাঁদের কাছে সাধারণ ঘটনা না। কিন্তু, এই ঘটনা তো নতুন না। তাই আমার কাছে এসব পাত্তা পায় না"। এখানেই শেষ না। তিনি আরও বেশ কিছু বললেন।
আরও পড়ুন - শাহরুখকে প্রকাশ্যে চুমু দীপিকার, বউয়ের কাণ্ডে রণবীর যা করলেন…
নেতিবাচকতা ভরে গিয়েছে। মানুষের ভাল দেখলে সহ্য হয় না কারওর। রূপালী বললেন, "আমার ওপর নেতিবাচক কিছু প্রভাব ফেলেনি। আমার কাছের মানুষরা সঙ্গে ছিল। আর কারওর কাছে বৈধতা পাওয়ার দরকার নেই"। কিন্তু আশিষ এর বিয়ের সবথেকে যে বিষয়টি অবাক করেছিল যে, তাঁর প্রথম স্ত্রী পিলুর সঙ্গে আদৌ কবে বিচ্ছেদ হয়েছিল এটা কেউই জানতেন না। সেকারণেই অনেকে রেগে আগুন হয়ে গিয়েছিলেন।
২২ বছরের সংসার কবে ভাঙল কীভাবে ভাঙল কেউ জানতেন না। আশিষ একসময় জানিয়েছিলেন, ছেলে অর্থ খুবই কষ্ট পেয়েছিল মা বাবার সংসার ভাঙার কারণে। কিন্তু, দিনশেষে ছিল এটাই যে খারাপ সম্পর্কে থাকার চেয়ে আলাদা হয়ে যাওয়া ভাল। পিলুর দিকেও একই ভাবনা চিন্তা ছিল। স্বপ্ন পাল্টে গিয়েছিল তাঁদের। একই পথে আর হাঁটা সম্ভব হচ্ছিল না সেকারণেই এই সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছিল।
বেশ কয়েকমাস হয়েছে আশিষ এবং রূপালীর বিয়ের। কিন্তু, বিতর্ক আজও পিছু ছাড়েনি। নিজেদের মত করেই সবকিছু গুছিয়ে নিয়েছেন তাঁরা।