/indian-express-bangla/media/media_files/2025/10/21/asrani_0c087d-2025-10-21-15-58-06.jpg)
যা যা হয়েছিল আসরানি...
Govardhan Asrani Death: প্রয়াত অভিনেতা আসরানি, যিনি 'শোলে' ছবিতে তাঁর স্মরণীয় কাজের জন্য আজও দর্শকদের মনে স্থান অধিকার করে রেখেছেন, দীর্ঘ ছয় দশকের বেশি সময় ধরে হিন্দি সিনেমায় কৌতুক অভিনেতা হিসেবে এক অমলিন ছাপ রেখে গেছেন। যদিও তিনি নানা ধরণের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। তবে, তাঁর কৌতুক অভিনয়ই ছিল সবচেয়ে জনপ্রিয়। তবে এই জনপ্রিয়তাই তাঁকে মূলধারার বলিউডে টাইপকাস্ট করে দেয়। সেখানে তাঁকে শুধুমাত্র পার্শ্বচরিত্র বা হাস্যরসাত্মক ভূমিকায়ই সীমাবদ্ধ রাখা হয়েছিল। কিন্তু আসরানির ইচ্ছে ছিল নিজেকে নতুনভাবে প্রমাণ করার, তাই তিনি পরিচালনার দায়িত্ব নেন।
১৯৭৭ সালে 'চালা মুরারি হিরো বানে' দিয়ে পরিচালক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন আসরানি। কিন্তু সেই যাত্রা ছিল অত্যন্ত কঠিন। ২০১৮ সালে ফিল্মফেয়ার-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, "আমি যখন এই ছবিটি বানাতে চেয়েছিলাম, তখন জীবনের একেবারে নিম্নতম পর্যায়ে দাঁড়িয়ে ছিলাম। আমার খুব ঘনিষ্ঠ বন্ধুরাও আমার ছবিতে কাজ করতে রাজি হননি। যাদের সঙ্গে আমি প্রতিদিন সময় কাটাতাম, তারা নানা অজুহাতে মুখ ফিরিয়ে নেন।"
Benny Dayal: জনপ্রিয় তারকা দম্পতির ঘরে সুসংবাদ, বড় খবর দিলেন গায়ক
তিনি আরও জানান, বড় নায়কেরা একজন কৌতুক অভিনেতার কাছ থেকে নির্দেশ নিতে রাজি ছিলেন না। আসরানির ভাষায়, “তাদের মনে হতো একজন কৌতুক অভিনেতা হয়ে সে আমাদের কীভাবে পরিচালনা করবে?” সেই সময় প্রযোজক গুলশান রাই তাঁকে উপদেশ দেন, “যেদিন তুমি নিজেকে পরিচালক হিসেবে ঘোষণা করবে, সেদিন থেকেই তুমি অভিনেতা হিসেবে বিশ্বাসযোগ্যতা হারাবে।” আই. এস. জোহর, মেহমুদ, জনি ওয়াকার ও দেবেন ভার্মার উদাহরণ দেখে আসরানি বুঝতে পারেন, এই পথ সহজ নয়।
তবুও তিনি হাল ছাড়েননি। নিজের অর্থে ছবি তৈরি করেন এবং অভিনয়ে ফিরে আসেন। তবে এই অভিজ্ঞতা তাঁকে গভীরভাবে প্রভাবিত করে। আসরানি বলেন, “সহকর্মীদের সঙ্গে অতিরিক্ত মেলামেশা আসলে সময়ের অপচয়। কাজের পরেও গসিপ আর সামাজিকতা সৃজনশীল শক্তি নষ্ট করে।”
চালা মুরারি হিরো বানে ছবিতে আসরানি নিজেই প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেন, সঙ্গে ছিলেন বিন্দিয়া গোস্বামী। এছাড়া ক্যামিও ভূমিকায় দেখা গিয়েছিল অমিতাভ বচ্চন, ধর্মেন্দ্র, হেমা মালিনী, ঋষি ও নীতু কাপুরসহ আরও অনেক তারকাকে। দীর্ঘ অভিনয় জীবনে অসংখ্য চরিত্রে দর্শকদের হাসিয়েছেন আসরানি, কিন্তু নিজের জীবনের সংগ্রামও ছিল সমান নাটকীয়। সোমবার ৮৪ বছর বয়সে তাঁর প্রয়াণে বলিউড হারাল এক প্রজন্মের কিংবদন্তি কৌতুক অভিনেতাকে।