Avengers Endgame Audience Review: অ্যাভেঞ্জার্স এন্ডগেম শুক্রবার মুক্তি পেল বিশ্বে। ২০১৮য় অ্যাভে়ঞ্জার্স ইনফিনিটি ওয়ার মুক্তির পর থেকেই দর্শকের উন্মাদনা রয়েছে জোয় ও অ্যান্থনি রুশোর পরিচালনায়, এন্ডগেম নিয়ে। ছবিতে থ্যানোসের কাছে পরাস্ত হয়েছে বেশিরভাগ সুপারহিরোরা। আর এই ছবিতে দর্শক সুপারহিরোদের ফিরে আসার প্রচেষ্টা দেখতেই তত্পর বলে মনে করা হচ্ছে।
ছবির প্রচার হোক কিংবা সাক্ষাত্কার, নির্মাতারা বারবার বলে এসেছে এই ছবির লক্ষ্য ছয় জন অরিজিনাল সুপারহিরোর উপরেই। তারা হলেন- আয়রন ম্যান, ক্যাপ্টেন আমেরিকা, থর, হাল্ক, ব্ল্যাক উইডো এবং হওকি। তারা যে ক্যাপ্টেন মার্ভেল ও আ্যান্টম্যানের সহায়তা পাবে একথা বলার অপেক্ষা রাখে না। এন্ডগেম ফিরিয়ে আনতে পারে ওকোয়ে, জেমস রোডস, রকেট এবং নেবুলাকে। যারা থ্যানোসের হাত থেকে বেঁচে গিয়েছিল।
অ্যাভেঞ্জার্সে ইনফিনিটি ওয়ারের আবেগঘন পরিণতির পর দর্শক প্রস্তুত অ্যাভেঞ্জার্স এন্ডগেম দেখতে। তবে আগের ছবির মতোই নির্মাতারা বারবার অনুরোধ করছেন স্পয়লার না দেওয়ার জন্য। তবে সিনেমাহলে দর্শকের ভিড় প্রমাণ করছে অ্যাভেঞ্জার্স নিয়ে বিশ্বের উন্মাদনা কতখানি। মার্ভেলের এই ছবি ‘অ্যাভেজ্ঞার্স এন্ডগেম’ প্রায় সমস্ত সিনেপ্রেমীদের এক ছাদের তলায় নিয়ে এসেছে। রিলিজের আগেই রেকর্ড ব্রকিং অগ্রিম টিকিট বুক হয়েছে ছবির। টিকিট বুকিং সাইট বুক মাই শোয়ে ২৪ ঘন্টায় প্রায় ১ মিলিয়ন টিকিট বিক্রি হয়ে গিয়েছে।
Live Blog
অ্যাভেঞ্জার্স এন্ডগেম সম্পর্কিত সমস্ত আপডেটস:
Avengers Endgame Review Avengers Endgame Audience Review
গত বছর ‘অ্যাভেঞ্জার্স: ইনফিনিটি ওয়ার’ যে উত্তেজনা তুলেছিল দর্শকদের মধ্যে, এবছর তার রেশ একটুও ফিকে হয়নি, বরং আরও জোরালো হয়েছে। বুকমাইশো প্ল্যাটফর্মে ঢুঁ মারলে তার আন্দাজ পাওয়াই যায়। হলে আসার আগেই সিনে জগৎ থেকে শুরু করে দর্শক মহল, সব জায়গায় উন্মাদনা তুঙ্গে। গত বছর ‘অ্যাভেঞ্জার্স: ইনফিনিটি ওয়ার’ দেখে বেরোনোর সময় সকলেই প্রায় সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছিলেন, পরের বছর দেখতে হবে ‘অ্যাভেঞ্জার্স: এন্ড গেম’।
গতবছর ‘অ্যাভেঞ্জার্স ইনফিনিটি ওয়ার’ ছবিতে শেষ দৃশ্যে দুর্লভ পাথরের ক্ষমতায় সুপার হিরোদের শেষ করে দিয়েছিল থ্যানোস। ধুলোর সঙ্গে মিশে গিয়েছিল তারা। এন্ডগেম মুক্তির দিন সেই শক্তি থ্যানোস প্রয়োগ করল গুগলের ওপর। তার এক তুড়িতে মুছে যাচ্ছে গুগলের সার্চ রেজাল্ট।
আরও পড়ুন: থ্যানোসের এক তুড়িতে উড়ল গুগল, দুই তুড়িতে ব্যাক
জোয় রুশো ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস ডট কমকে বলেন, থানোসের লক্ষ্য ভীষণ দার্শনিক। সেটা শিক্ষনীয় বিষয়ও বটে। শেষপর্যন্ত আমাদের মনে রাখতে হবে, ও একজন সোশিয়োপ্যাথ। তাহলে আপনি প্রশ্ন করতেই পারেন শেষমেশ থানোস কী চায়? পৃথিবীর রিসোর্স সম্পর্কে মানুষকে জানাতে আর নিজের বানানো একটা ইউনিভার্স।
তিলোত্তমা গ্রীষ্মের দাবদাহ উপেক্ষা করেই মাতল এন্ডগেমে। আইনক্স, পিভিআর কোনো মাল্টিপ্লেক্সেই তিল ধারণের জায়গা নেই। হাউসফুল বোর্ড ঝুলছে সবকটা শোয়ের বাইরে। তারমধ্যে শনি ও রবিবার ছুটির মেজাজ। সবমিলিয়ে অ্যাভেঞ্জার্স জ্বরে কলকাতা।
ফিল্ম অ্যানালিস্ট গিরিশ জোহর ছবির আয় প্রেডিকশন করে বুঝতে পেরেছেন ‘অ্যাভেঞ্জার্স এন্ডগেম’-এর বিশাল ওপেনিং হতে চলেছে ভারতে। তিনি বলেন, ”রুশো ব্রাদার্সের পরিচালিত ছবি অনেকদিন থাকবে সিনেমাহলে। এমনকী ভারতে সমস্ত ভাষাতে প্রথম দিনে প্রায় ৫০ কোটির ব্যবসার সম্ভবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। তিনি আরও জানান, ভারতে রজনীকান্তের ছবি নিয়ে যে উন্মাদনা দেখা যায় এই ছবির ক্ষেত্রেও সেরকম আশা রয়েছে। সেকারণেই সিনেমাহল মালিকরা ভোরবেলা ছবির শো রেখেছেন। একমাত্র থালাইভার ছবির ক্ষেত্রের বিশেষভাবে এই শো রাখা হত।”
ছবির উত্তেজনা এতটাই যে, অফিস শুরুর আগেই সিনেমাহলে পৌঁছে গিয়েছেন অনেকে। দিনটা শুরু করলেন অ্যাভেঞ্জার্স এন্ডগেম দিয়েই। কাজ তো হবেই কিন্তু এই ছবি মিস করতে রাজি নন দর্শক।
অ্যাভেঞ্জার্স এন্ডগেম-এ ক্যামিও চরিত্রে দেখা যাবে স্ট্যান লিকে। ২০১৮ র নভেম্বরে জীবনাবসান হয়েছে অভিনেতার। অ্যান্থনি রুশো ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস ডট কমকে বলেন, আমরা স্ট্যান লিকে ভালবাসি এবং এটা ভীষণ আনন্দের যে এন্ডগেম ওঁনার শেষ ক্যামিও ছবি ছিল।
থ্যানোস বিশ্বকে কৃতজ্ঞ রাখার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এদিকে সিরিজের শেষ ছবিটি তৈরি করতে নির্মাতা ও কলাকুশলীরা আপ্রাণ চেষ্টা করেছেন। এই কঠোর পরিশ্রম সাফল্য আনবে।
কলকাতায় কেবল নয় দেশের বিভিন্ন হলে সিনেপ্রেমীদের ভিড়
হিন্দ আইনক্স? নেই। কোয়েস্ট? নেই। মণি স্কোয়ারের পিভিআর? সেও হাউসফুল। সকাল থেকে কোথাও মনমতো টিকিট পাওয়া যাচ্ছে না। আপাতত আগামী সপ্তাহ অবধি ঠেসে বুক করা হয়ে গেছে সমস্ত হলের ‘অ্যাভেঞ্জার্স: এন্ড গেম’ ছবির টিকিট।কলকাতায় ছবি নিয়ে উচ্ছাস চোখে পড়ার মতো।