মার্ভেলের অ্যাভেঞ্জার্স ইনফিনিটি ওয়ার সিনেমা হল থেকে বেরিয়েছিল প্রায় পাঁচ মাস পর। আর আয় করেছিল ৬৭৮.৮১ মিলিয়ান ডলার, সেইসঙ্গে তকমা এঁটেছিল আমেরিকার চতুর্থ বড় ছবির। স্টার ওয়ার দ্য ফোর্স অ্যাওয়েকেন্স, অবতার এবং মার্বেলের নিজের ব্ল্যাক প্যান্থারের পরের স্থানে নিজের জায়গা করে নিয়েছে অ্যাভেঞ্জার্স ইনফিনিটি ওয়ার। আগের তিনটি ছবি আয় করেছিল যথাক্রমে ৯৩৬.৬৬ মিলিয়ন ডলার, ৭৬০.৫০ মিলিয়ন ডলার এবং ৭০০.০৫ মিলিয়ন ডলার।
যথন বিশ্বের নিরিখে ব্যাবসার প্রশ্ন আসছে, সুপারহিরো ছবির কালেকশন প্রায় ২.০৪ বিলিয়ন ডলার (অনিয়ন্ত্রিত মুদ্রাস্ফিতী)। মুক্তির পর অনেক বক্সঅফিস রেকর্ড ভেঙেছে ইনফিনিটি ওয়ার। শুধু তাই নয়, যতদিন সিনেমা হলে চলেছে ততদিন প্রায় নিজেকে স্বতন্ত্র রেখেছে।
অ্যাভেঞ্জার্স ইনফিনিটি ওয়ার, সিরিজের প্রথম ছবি যা দুটো ছবির কনক্লুসন থেকে তৈরি করা হয়েছে। যার প্রথমটা হল থানোসের স্টোরিলাইন যা শুরু হয়েছিল ২০০৮ সালে যেখানে রবার্ট ডাউনি জুনিয়রের আয়রন ম্যান দিয়ে। আর প্রত্যেকবার থানেসকে হারানোর জন্য সুপারহিরোরা একসঙ্গে আবির্ভুত হয়েছে। থানোসের উদ্দেশ্য ছিল অর্থেক ব্রক্ষান্ডকে ধ্বংস করা যাতে ব্যালেন্স রাখা যায়। খানোর সফলও হয়, অনেকে ভস্মে পরিণত হয়, তাদের মধ্যে ড.ট্রেন্জ, ব্ল্যাক প্যান্থার, স্পাইডার ম্যান, বলতে পারা যায় প্রায় সমস্ত গার্ডিয়ান অফ দ্য গ্যালাস্কির সদস্যরা।
আরও পড়ুন, ভারতে মারিজুয়ানা বৈধ করে দেওয়া উচিৎ: উদয় চোপড়া
ক্যপ্টেন আমেরিকা দ্য উন্টার সোলজার এবং ক্যাপ্টেন আমেরিকা সিফিল ওয়ারের নির্মাতা রুশো ব্রার্দাসের ওপরেই দায়িত্ব বর্তে ছিল অ্যাভেঞ্জার্স ইনফিনিটি ওয়ার তৈরি করার। এই ছবি শুধু বক্সঅফিসই মাতায়নি, সমালোচকদের প্রশংসাও কুড়িয়েছিল। ৮৪ শতাংশ রেটিং ছিল রটন টোম্যাটোসের সাইটে। সেখানে লেখা হয়েছিল, মার্বেলের সুপারহিরোদের হতমভ্ব করে তুলেছিল তাদের সামনের সবথেকে গুরুতর বিপদকে শায়েস্তা করতে না পারার পরিস্থিতি। আর ফলস্বরূপ দর্শক পেয়েছিল রোমাঞ্চকর, অাবেগতাড়িত, ব্লকবাস্টার এক প্রকান্ড জার্নি। তবে পরের ছবি অ্যাভেঞ্জার্স ফোর যা মুক্তি পেতে চলেছে ২০১৯ এর ৪ অগাস্ট।