হ্যাঁ হ্যাঁ, আমরাও জানি যে ছবিটা দেখে আপনার গলায় উইকেন্ডের ভাত-মাংস আটকে যাওয়ার জোগাড়। বাকিটা পড়ার আগেই জানিয়ে রাখি গ্রাফিকারির প্রসাদ ভাট এই অনবদ্য পোস্টারটি এঁকেছেন। নব্বই দশকের বলিউডের প্রখ্যাত তারকাদের ওপর তৈরি করা এই পোস্টারটি প্রসাদের প্রিয় তারকাদের প্রতি একটি শ্রদ্ধার্ঘ বলে জানিয়েছেন তিনি। শিল্পী আরও জানান যে এঁদের দেখেই বড়ো হয়েছেন তিনি তাই অ্যাভেঞ্জারের আগামি ছবিতে এই তারকাদের দেখা গেলে মন্দ হত না। আপনি কী বলেন?
আরও পড়ুন: ক্যান্ডি ক্রাশ, ক্ল্য়াশ অফ ক্ল্যানস, টেম্পল রানে একঘেঁয়েমি! রইল পাঁচটি ভুতুড়ে গেমের সন্ধান
ভাট নামও দিয়েছেন এই সিরিজের। অ্যাভেঞ্জারের বলিউডি সংস্করণ হিসাবে ‘অঙ্গারে’ নামটাই বেছেছেন তিনি। জানিয়ে রাখা প্রয়োজন, নব্বই-এর দশকে এই ধরনের নামই ব্যবহৃত হত বলিউডি ছবিতে।
পোস্টারে যাঁরা
থ্যানোস: মার্ভেল ছবিতে সবচেয়ে শক্তিশালী ভিলেনের চরিত্রে তাঁর মোগাম্বো ওরফে অমরিশ পুরীকেই সবচেয়ে পছন্দ, আপনার কী অন্য কারও নাম পছন্দ?
হাল্ক : ‘ঢাই কিলো কা হাত’-এর অধিকারি সানি পাজি ছাড়া আর কাকেই বা মানাবে এই চরিত্রে। তিনি ছাড়া কেই বা একা হাতে একশো ভিলেনকে শুইয়ে ফেলতে পারবেন। আর তিনি যদি ‘ওইইইইইইইইই’ বলে হাঁক ছাড়েন তাহলে তো কথাই নেই।
ক্যপ্টেন আমেরিকা: যদিও তাঁর অফ-স্ক্রিন চরিত্র একটু আলাদা, তবুও জ্যাকি শ্রফ ছাড়া এই ‘হিরো এবং ভাল মানুষ’ চরিত্রে জ্যাকি শ্রফ ছাড়া আর কারও নাম তাঁর মাথায় আসেনি। ‘রাম লক্ষ্মণ’ মনে পড়ে ? দাঁড়ান, তাঁর ঢালটি কী বিজেপির অনুদান?
ব্ল্যাক পান্থার: না, প্লিজ। শুধুমাত্র জীবনের প্রথম ছবিতে দুটি মোটরসাইকেলে পা রেখে পর্দায় আসার জন্য তাঁকে মার্ভেলের এই সেরা চরিত্রটিতে ভাবা আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়,
থর: আপনার যদি সিক্স প্যাক শরীর, লম্বা চুল এবং দুরন্ত লুক থাকে তাহলে সহজেই এই চরিত্রে আপনি ফিট। স্বাভাবিক ভাবেই সঞ্জয় দত্তকে খুব একটা বেমানান লাগবে না এই রোলে।
আয়রণ ম্যান: তাঁর অভিনীত তাল, ত্রিমূর্তি ইত্যাদি ছবি দেখেই বোধহয় অনিল কাপুরকে এই চরিত্রে ভেবেছেন কার্টুনিস্ট।
ব্ল্যাক উইডো: বলিউডের অন্যতম সেরা অভিনেত্রী রেখাকে অন্তত একটি সুপার হিরো মুভিতে নেওয়া উচিৎ ছিল। না, আমরা ,খুন ভরি মাঙ্গ’-এর কথা বলিনি।
ডাঃ স্ট্রেইঞ্জ: নাসিরুদ্দিন শাহ্-কে মূলত আমরা ‘থিয়েটার টাইপ’ আঁতেল অভিনেতা বলেই চিনি। তাই এই চরিত্রে তাঁকে অনায়াসেই মানিয়ে যাবে।