একঘেয়ে রোম্যান্টিক কিংবা পারিবারিক সিনেমার জায়গায় ট্যাবু ভাঙার কিংবা ভিন্ন ধরনেরছবি মানেই আয়ুষ্মান খুরানা। তথাকথিত সামাজিক বার্তা দেওয়াই তাঁর লক্ষ্য। ভিকি ডোনর থেকে বালা কিংবা চণ্ডীগড় করে আশিকি - সবসময় অচেনা ছন্দে নিজেকে তুলে ধরেছেন। তবে এবার ছবির অসফলতার পেছনেও দায়ী নির্দিষ্ট কিছু কারণ।
Advertisment
অনেক, ডক্টর জি এবং চণ্ডীগড় করে আশিকি এই শেষ তিনটি ছবি খুব একটা কামাল করতে পারেনি বক্স অফিসে। কিন্তূ নিজের সিনেমা মন কাড়তে পারেনি দর্শকদের তার জন্যও আয়ুষ্মান দায়ী করলেন ভারতের দর্শকদেরই। অভিনেতার বক্তব্য, "ট্যাবু সাবজেক্টে কাজ করেছি অনেক। প্যান্ডেমিকের আগে যথেষ্ট ভাল গিয়েছে সেইসব ছবি। গোঁড়ামি, অন্ধবিশ্বাস যাতে ভেঙে যায় সেইজন্য করতে চেয়েছি এসব ছবি। এই ধরনের ছবি সামাজিক একটা বার্তা দেয়। অনেক বিরাট পরিসরের মানুষ দেখেন। বাচ্চারা দেখে এইসব ছবি। কমার্শিয়াল ভাবে আমার শেষ তিনটি ছবি একেবারেই চলেনি কারণ, দুর্ভাগ্যবশত এই দেশটা খুব হোমোফোবিক"।
ছবির সাফল্য কিংবা বক্স অফিসে দুর্ভোগ এগুলো লেগেই রয়েছে। তবে সমকামিতা কিংবা সমপ্রেম নিয়ে যে এদেশের মানুষের এখনও একটা গোঁড়ামি রয়েছে সেইদিকে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিলেন আয়ুষ্মান। তবে, নিজের সাহসিকতার পরিচয় তিনি বারংবার দেবেন। শুধু তাই নয়, জানিয়েছেন ঝুঁকি নিতে না পারলে আয়ুষ্মানও সকলের মত গতানুগতিক হয়ে যাবে। একেই লো বাজেট ফিল্ম তাঁর সঙ্গে ভিন্ন কিছু না হলে চলে?
আয়ুষ্মান সবসময়ই নিজের কাজের মাধ্যমে দর্শকদের কাছে পৌঁছে গিয়েছেন। তাঁর ছবি মানেই অন্যধরনের কিছু থাকবে। আয়ুষ্মান বলেন, "ভবিষ্যতে আরও এরকম ছবি করব। আমার ছবির বাজেট বেশি নেই, তাই সেই লোকসান সামলাতে পারব কিন্তু ঝুঁকি নেওয়া ছাড়ব না"।