আজমেরি বাঁধন হক। পদ্মাপারের অভিনেত্রী হয়েও এপার বাংলায় তিনি সমান জনপ্রিয় বর্তমানে। নেপথ্যে অবশ্য সৃজিত মুখোপাধ্যায়। পরিচালকের 'রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও খেতে আসেননি' সিরিজে বাঁধনের অভিনয় হইচই ফেলে দিয়েছিল। এমনকী এই সিরিজের পরই মুম্বই থেকেও ডাক পান বাংলাদেশি এই নায়িকা। আর বাঁধনের মতো এত জনপ্রিয় অভিনেত্রীকেও কিনা সম্পর্কের টানাপোড়েন, তিক্ত দুর্বিষহ অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে!
বাংলাদেশের প্রথম কোনও সিনেমা কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের মতো সম্মানজনক মঞ্চেও দেখানো হয়েছে বাঁধনের হাত ধরেই। তবে বর্তমানে জনপ্রিয়তার চূড়ায় পৌঁছলেও গোড়ার দিকে তাঁর জীবন মোটেই সুখকর ছিল না। গার্হস্থ্য হিংসার শিকারও হতে হয়েছে বাঁধনকে। নিজমুখেই সেকথা জানান অভিনেত্রী।
গ্ল্যামার দুনিয়ায় সবটাই যে চাকচিক্যে ভরা নয়, তার প্রমাণ আবারও পাওয়া গেল আজমেরি বাঁধন হকের কথায়। কোনও দুঃস্বপ্নের থেকে কম কিছু ছিল না তাঁর জীবন। বিয়ের পর রোজ রাতে বাঁধনের সঙ্গে জোর করে সঙ্গমে লিপ্ত হতেন স্বামী। যিনি কিনা নায়িকার তুলনায় ২০ বছরের বড়। নিত্যরাতে তাঁকে যে পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যেতে হত, তা বৈবাহিক ধর্ষণের থেকে কোনও অংশে কম নয়। এখানেই অবশ্য শেষ নয়।
<আরও পড়ুন: মালপত্র খুইয়ে মাথায় হাত, বিমান সংস্থাকে তুলোধোনা অভিনেতা রানা ডাগ্গুবাটির>
বিয়ের পর জোর করে বাঁধনের পড়াশোনাও বন্ধ করে দিয়েছিল শ্বশুরবাড়ির লোকজন। দেখা করতে দেওয়া হত না কোনও বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গেও। এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী জানান, তখন মনে হয়েছিল এটাই হয়তো ভবিতব্য। অনেকেই পরামর্শ দিয়েছিলেন, সন্তান এলে সংসারে সুখ আসবে। কিন্তু তাতেও লাভ হয়নি। শেষমেশ ৪ বছরের বৈবাহিক জীবনে বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেন বাঁধন। ২০১৪ সালে ডিভোর্স দেন স্বামী হোসেন সিদ্দিকি সনেটকে। এরপরই বাঁধনের জীবনের মোড় ঘোরে।
বিবাহ বিচ্ছেদের পর পড়াশোনা শেষ করেন। সামাজিক কাজকর্মে লিপ্ত হন। মেয়ে নিয়ে এখন দিব্য়ি আছেন তিনি। পাশাপাশি অভিনয়ও চালিয়ে যাচ্ছেন। চলতি বছরেই তাব্বুর সঙ্গে বলিউড ফিল্ম 'খুফিয়া'তে অভিনয় করেছেন।